দেবদাস মজুমদার :
শুভ্র শোভন নাইট কুইন ফুল। রাতেই ফোঁটে বলে এর পরিচিতি রাতের রানী। কথিত আছে নাইটকুইন সৌভাগ্যের ফুল । যার বাগানে ফোঁটে সে নাকি সৌভাগ্যবান। তাই নাইটকুইন সৌভাগ্যের প্রতীক।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরশহরের নিউমার্কেট আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও দৈনিক ইত্তেফাকের মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি মো. রফিকুজ্জামান আবীরের বাসভবনের বারান্দার টবে আজ বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে ফুটেছে সৌভাগ্যেও নাইট কুইন ফুল। একটি নয় একেবাওে ৯টি শুভ্র শোভন নাইট কুইন একসাথে এই রাতে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। যেন সাত ভাই চম্পা অথবা সাত রানীর সম্মিলনী এখন সাংবাদিক রফিকুজ্জামান আবীরের বারন্দা জুড়ে। একসাথে ৯টি নাইট কুইন ফুল ফোঁটার খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ফুল বারান্দায় ভীর করেন রাতের রানীর শুভ্রতা উপভোগ করছেন।
গৃহকর্তা রফিুজ্জামান আবীর জানান, তিনি শখ করে বাসার ছাদে একটি টবে নাইটকুইন ফলের চারা লাগিয়েছেন। এর আগেে আরও তিনবার আগে তার বারান্দায় টবে লাগানো গাছে তিনটি নাইট কুইন ফুটেছিল। তবে আজ বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে চতুর্থ বারের মত ৯টি ফুল এক সাথে প্রস্ফ’টিত হয়েছে। তিনি আরও জানান গত কয়েকদিন ধরে তিনি নাইট কুইন ফুল ফোঁটার অপেক্ষায় ছিলেন। একসাথে সাতটি ফুল ফোঁটায় তার বাসায় এখন আনন্দ বইছে।
জানাগেছে, নাইট কুইন মূলত বর্ষাকালীন ফুল। গ্রীষ্মের শেষে বা বর্ষার শুরুতে এই ফুল ফোটে। তবে এই ফুল মাঝে মাঝে বছরের যেকোনো সময় ফুটতে দেখা যায়। প্রথমে গাছে একটি-দুটি করে ফুল আসলেও প্রতি বছরে ফুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একটি গাছে একসাথে ৫০-৬০টি পর্যন্ত ফুল ফুটতে পারে। দারুণ সুগন্ধী ফুল নাইট কুইন মূলত সাদা হয়। তবে মাঝে মাঝে বেগুনী বা মেরুন পাপড়িযুক্ত নাইট কুইনের দেখা মেলে।
অভিজাত সৌন্দর্যের প্রতীক নাইট কুইনের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Epiphyllum oxypetalum। এটি ক্যাকটাস প্রজাতির গাছ। নাইট কুইন মোটামুটি দুর্লভ প্রজাতির ফুল। আগে শুধু ইউরোপের কয়েকটি দেশে দেখা গেলেও বর্তমানে তা আমাদের দেশেও দেখতে পাওয়া যায়। নাইট কুইনের প্রথম দেখা মেলে মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকায়, ১৯৫৩ সালের দিকে। মরুভূমির উদ্ভিদ হলেও বর্তমানে তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। নাইট কুইনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো পাথরকুচির মতো এটিও পাতা থেকে অংকুরিত হয় এবং বংশবিস্তার করে। পাতা থেকে ফুলও জন্মে! এক রাতের ফুল নাইট কুইন টবে চাষ করা যায় বলে অনেকের শখের বাগানেই তা স্থান পায়। তবে এই গাছের যত্নআত্তি করতে হয় খুব! নাইট কুইন ফুল ফোটানো বেশ শ্রমসাধ্য ব্যাপার ।