ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন

টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন

পিরোজপুর প্রতিনিধি >>

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বরগুনার টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১ কিলোমিটারের ভিতর কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পিরোজপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা, সাংবাদিকবৃন্দ, টিআইবি ও সনাক এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের টাউন ক্লাব সড়কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি পিরোজপুর উদ্যোগে পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ উদ্যোগ প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিত সংরক্ষিত টেংরাগিরি বন থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে ৩০৭ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইসোটেক ও বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠান। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ এর ৭(৪) ধারা অনুযায়ী, ‘লাল’ শ্রেণীভুক্ত যেকোনো শিল্প স্থাপনে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) সাপেক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা ছাড়াই এই কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন নিষেধ হলেও তা অমান্য করে একতরফা এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে দেশের আইনের উদ্বেগজনক লঙ্ঘন।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তাগণ বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সাংবিধানিক ও আইনি বাধ্যবাধকতাকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইন ও সংবিধান রক্ষায় সরকার যেখানে অঙ্গীকারাবদ্ধ সেখানে এই ধরনের উদ্যোগ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান পিডিবি’র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি দুর্ভাগ্যজনক। নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সুখ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথভাবে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) না করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর নামে এসব কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত বনাঞ্চলকে আরো ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলে ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণের জীবন, জীবিকা ও জীববৈচিত্র্যকে আরো ঝুঁকিতে কেন ফেলা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। বক্তাগণ আত্মঘাতি এ উদ্যোগ অবিলম্বে প্রত্যাহারের করে এ ধরনের প্রাণ ও প্রতিবেশ বিধ্বংসী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপের আহবান জানান।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...