ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের আওতায় আনা হচ্ছে

দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের আওতায় আনা হচ্ছে

আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন▶️

শিশুদের জন্য শিক্ষাকে আনন্দময়, চিত্তাকর্ষক ও সহজবোধ্য করার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা প্রদানে দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবগুলোকেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের আওতায় আনা হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল আজ বুধবার সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিশুদেরকে ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে আমরা সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২ হাজার বিদ্যালয়ে ইত্যেমধ্যেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম চালু রয়েছে।
ড. আবু হেনা বলেন, শিশুরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমে তাদের পড়া খুব সহজেই বুঝতে পারে, তাই এই পদ্ধতিতে পাঠদান তাদের কাছে অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক হবে।

তিনি জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেন শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান করতে সক্ষম হন, সেই লক্ষ্যে তাদের মানোন্নয়নে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

অবকাঠামোগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপেক্ষাকৃত প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল ক্লাশরুম চালু করার জন্য সৌর বিদ্যুতের প্রয়োজন।

মানসম্মত পাঠদানের ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম সর্বোত্তম মাধ্যম হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের সফলতা, বিশেষত ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীর উপস্থিতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হচ্ছে। এখন আমরা প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছি।

ড. আবু হেনা বলেন, সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। আমরা এইসব শিক্ষক-শিক্ষিকাকে টিচার্স পোর্টালে তালিকাভুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

শিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষে ২০১২ সালে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ১ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম চালু করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও উন্নয়ন অংশীদার আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষা প্রবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। এরা প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক পাঠদানে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।

এই প্রদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং ইউএসএইডের রিডিং ইনহ্যান্সমেন্ট ফর অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট (আরইএডি) প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন এর বাংলাদেশ শাখা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। সম্প্রতি এরা যৌথভাবে দিনব্যাপী শিক্ষাদান সামগ্রীর প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

সূত্র > কালের কন্ঠ

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...