ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু◾দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগে নতুন মাত্রা

পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু◾দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগে নতুন মাত্রা

পিরোজপুর প্রতিনিধি ▶️

বরিশাল- পিরোজপুর -বাগেরহাট -খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে পিরোজপুরের কচা নদীর বেকুটিয়ায় অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। বহুল প্রত্যাশিত বেকুটিয়া সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে।
গত ১৬ অক্টোবর সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সেতু নির্মানের জন্য গঠিত ‘৮ম বাংলাদেশ – চীন মৈত্রী সেতু নির্মান প্রকল্প’ অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

এদিকে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পিরোজপুর জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পিরোজপুর তথা দক্ষিণাঞ্চল বাসীর দির্ঘদিনের স্বপ্ন এ সেতুটি নির্মিত হলে বরিশাল থেকে খুলনা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বেকুটিয়া ফেরীঘাটের জানজটের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন এ পথে চলাচলকারী হাজারও যাত্রীরা। এ সেতু নির্মিত হলে তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে মংলা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগও স্থাপিত হবে।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, রাজাপুর – নৈকাঠি বেকুটিয়া – পিরোজপুর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক। তার পরও কচা নদীতে ফেরিতে করে জনগণকে তাদের পারাপার হতে হয়। কিন্তু বেশি যানবাহনের চাপ থাকায় যথাসময়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রতিদিনই ফেরিঘাটে যানজট লেগেই থাকে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সহজ সড়ক যোগাযোগ ও নব নির্মিত পায়রা বন্দরের সুবিধা কাজে লাগাতে পারা যাচ্ছে না। এসব বিবেচনা করে সরকার উদ্যোগ নেয় কচা নদীতে ‘রাজাপুর – নৈকাঠি বেকুটিয়া পিরোজপুর সড়কের (জেড ৮৭০২) ১২ কিলোমিটারের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়ায় ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের। আর এ সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার দিচ্ছে ৬৫৪ কোটি টাকা। বাকি ১৬৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের জানুয়ারি সময়ের মধ্যে।
প্রকল্পের প্রধান কাজ হচ্ছে- নদী শাসনসহ ১ হাজার ৪৯৩ মিটার মেইন ব্রিজ ও ভায়াডাক্ট নির্মাণ । ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ হবে সাড়ে ১৬ মিটার। ভূমি অধিগ্রহণ হবে ১৩ দশমিক ৩২ হেক্টর এবং ভূমি উন্নয়ন করা হবে ৩৭ হাজার ২৪ বর্গমিটার। এ ছাড়া টোল প্লাজা নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজও করা হবে।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের মধ্যে সওজ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সেতু নির্মানের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তিনি জানান, সেতু নির্মিত হবে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা পয়েন্ট থেকে কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া । মুল সেতু হবে ৯৯৮ মিটার। এপ্রোচ সড়ক হবে বেকুটিয়া প্রান্তে ৮০০ মিটার এবং কুমিরমারা প্রান্তে ১৪০০ মিটার। সেতুর জন্য নির্ধারিত এলাকায় জমি অধিগ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

পিরোজপুর এর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, সেতু নির্মানের প্রস্তাব পাওয়ার পর তারা সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। ওই এলাকার প্রায় ৩৩ একর জমি অধিগ্রহন করা হতে পারে।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...