আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন ডেস্ক ▶️
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী । ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মারা যান। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন শিল্পীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বলে জানান, সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।
নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা, পাখির কলকাকলীতে ভরা শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন শিল্পী এস এম সুলতান (লাল মিয়া)। পিতা মো. মেছের আলি আর মাতা মোছা. মাজু বিবি।
চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৭০ বছরের জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামে ভেজা মেহনতী মানুষের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন ‘পাট কাটা’, ‘ধান কাটা’, ‘ধান ঝাড়া’, ‘জলকে চলা’, ‘চর দখল’, ‘গ্রামের খাল’, ‘মৎস্য শিকার’, ‘গ্রামের দুপুর’, ‘নদী পারাপার’, ‘ধান মাড়াই’, ‘জমি কর্ষনে যাত্রা’, ‘মাছ ধরা’, ‘নদীর ঘাটে’, ‘ধান ভানা’, ‘গুন টানা’, ‘ফসল কাটার ক্ষণে’, ‘শরতের গ্রামীণ জীবন’, ‘শাপলা তোলা’র মতো বিখ্যাত সব ছবি। ১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালীন বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়। সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী যার ছবি এসব শিল্পীদের ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছে। কালোত্তীর্ণ এই চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
তথ্য সূত্র > কালের কণ্ঠ