মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ↪️
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালী লঞ্চঘাটে বিবদমান দুপক্ষে সংঘর্ষকালে ওসির ওপর হামলা ও সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম রোববার দুপুরে বাদী হয়ে ৩৮জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় ১২জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সুমন(৩৫), ইসাহাক বয়াতী(৩৩), নামজুল হোসেন(২২), ইদ্রিস বয়াতী(২৮), রেিবল মিয়া(২৫), রুবেল আকন(২৬), জুবায়ের(২৮), মনির মাতুব্বর(৪০), ইসমাইল(২৩), নজরুল(৩৬), মনির হাওলাদার(২৮), চন্দন মিত্র(২৮) এদের অধিকাংশের বাড়ি পার্শবর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা ও গোলবুনিয়া গ্রামে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় এ হামলার সময় স্থানীয় শ্রমিক লীগ অফিসসহ তিনটি দোকান ভাংচুর চলাকালে পুলিশ হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে গেলে থানার ওসি আহত হন।
শনিবার সন্ধ্যার পর ওই হামলার ঘটনার পর থেকে তুষখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে নানা আতংক বিরাজ করছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, সম্প্রতি উদয়তাঁরা বুড়ির চর গ্রামের চাঞ্চল্যকর বিএনপি নেতা হাবিব হত্যা মামলার আসামী হিমু তালুদারের মেয়ে ডা. তানিয়া ও জামাতা ব্যবসায়ি সলিম পঞ্চায়েতের সাথে শনিবার াবকালে স্থানীয় তুষখালী লঞ্চঘাট এলাকায় নিহত হাবিবের ছেলে মানিকের বাক-বিতান্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
থানা পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল লঞ্চঘাটে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ হরিণপালা গ্রামের মৃত শাহ আলমের পুত্র সুমনের নেতৃত্বে একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকলীগ অফিস ও নিহত হাবিবের স্বজনদের চারটি দোকান ঘর ভাংচুর করে।
এসময় থানা পুলিশ দুজনকে আটক করার সময় হামলাকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এসময় ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম আহত হন।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমেদ মাঈনুল হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে তুষখালীতে আতংক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।