ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ার মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশন জাতীয়করণের দাবিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়ার মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশন জাতীয়করণের দাবিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষাঙ্গন প্রতিনিধি ↪️

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী মডেল কে.এম.লতীফ ইনস্টিিিটউশন অবিলম্বে জাতীয়করণের দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদে উদ্যোগে আজ রবিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মঠবাড়িয়ার সকল গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কলেজ শিক্ষক মো. জুলহাস শাহীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপকূলীয় শিক্ষা বিস্তারে মডেল প্রতিষ্ঠান মঠবাড়িয়া কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশন আজও জাতীয়করণ না হওয়ায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হতাশ। তাই ঐতিহ্যবাহী স্কুলটি মডেল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীকরণের দাবিতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে । ওইদিন সকাল ১০টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মূখ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অবহিত করা হয়, সম্প্রতি জাতীয়করণের দাবিতে মঠবাড়িয়া সদরে মানববন্ধন ও সমাবেশ সহ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীসহ তিন সহ¯্রাধিক এলাকাবাসি অংশ নেন। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মঠবাড়িয়া সদরের প্রাণকেন্দ্রে ১৫ দশমিক ৮৪ একর জমি জুড়ে ঐতিহ্যবাহী মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিিিটউশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৪৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। উপকূলে মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। একাধিকবার মেধা তালিকায় চারবার প্রথম স্থানসহ (১৯৬৬, ১৯৬৭, ১৯৮২, ১৯৮৪) একাধিকবার মেধা তালিকায় সম্মানজনক স্থান লাভ করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি কো-এডুকেশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী(ছাত্র-৮১০ ও ছাত্রী-৬৬৫) নিয়মিত লেখাপড়া করছে। দুইটি আবাসিক ছাত্রাবাসে দুরদুরান্তের শিক্ষার্থী অবস্থান করে পড়াশুনা করছে। ৩৭জন শিক্ষক ও ৯জন কর্মচারী এখানে কর্মরত।

এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলে প্রতিবছর উপজেলা ও জেলায় এখনও সগৌরবে শীর্ষ স্থান অর্জণ করে আসছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ এ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্ব অর্জণ করে। কিন্তু দুর্র্ভাগ্য আজও প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের আওতা বঞ্চিত। এমন একটি মডেল স্কুল জাতীয়করণ না হওয়ায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিস্মিত ও ক্ষুব্দ।

সংবাদ সম্মেলনে মঠবাড়িয়া মডেল কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশন অবিলম্বে জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সনম্মেলনে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুস সালাম আজাদী, মো. জিল্লুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...