ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মৃধা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিএনপি জামাতের নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের তালিকা প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়ম করে টাকা আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ও রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
আজ সোমবার দুপুরে ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইন্দুরকানি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাতুব্বর।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় যে, ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মৃধা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই সরকারের দুই মেয়াদে তাদের দায়িত্ব থাকাকালীন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নিজেস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ আওয়ামীলীগের প্রায় ১০০ কর্মীদের নাম বাদ দিয়ে গত ২৩ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ২৪ জন ব্যক্তির জন্য ২৬ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান মৃধা, ফারুক হাওলাদার, কাশেম, শাওন তালুদকার, সাথী, শাহ আলম, সহ অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে টাকা গ্রহন করেন, অথচ এদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলনের সময় এলাকায় ছিলো না। তাদের তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হয় নাই অথচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাহবুব আলম, মাহবুব ফকির, ইকরামুর শিকদার, শাহীন, বাপ্পী, ছগির সহ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অথচ তাদের নাম তালিকায় আসে নাই।
লিখিত বক্তব্য আরো অভিযোগ করা হয় যে, বিএনপি-জামাতের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন মামলার বাদী হওয়ার সুবাদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মনিরুজ্জামান মামলার আসামীদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করেন। এই দুই মেয়াদে ইন্দুরকানি আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাড মতিউর রহমান ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন অবস্থায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জামায়েত-বিএনপির কর্মীদেরকে চাকুরিতে নিয়োগ দেয়। সভাপতি ও সম্পাদকের যৌথ উদ্দ্যোগে ৯ বছর ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নামে বেনামে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপির প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে গত ০৮ আগষ্ট উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে প্রায় ৫/৬ মাস সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলার সাংগঠনিক কোন কর্মকান্ডে আসে না। তৃর্নমূল পর্যায়ের কর্মীদের রোশানালের ভয়ে তারা এলাকা ছাড়া। এছাড়া সম্প্রতি ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগের জন প্রতি ৫-৭ লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে বলো আরো উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন, সাঈদীর মামলার বাদী ও আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব ফকির, আওয়ামীলীগ নেতা হারুর অর রশিদ, ইন্দুরকানি উপজেলা যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইকরামুর শিকদার, যুবলীগ নেতা রিপন শিকদার, আবু বকর ছিদ্দিক লাভলু, ইন্দুরকানি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম শাহীন প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান বলেন, একটি মহল অপরাজনীতি করে দলের ভাব মূর্তি নষ্ট করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মৃধা মনিরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদান আনার আগে অনেক তদন্ত করা হয়েছে এখন ও আর্থিক অনুদানের জন্য দরখাস্ত জমা হচ্ছে। যে অভিযোগ করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে তা মিথ্যা।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...