ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ার মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশন জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ

মঠবাড়িয়ার মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিটিউশন জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ

শিক্ষাঙ্গন প্রতিনিধি >>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিিিটউশন অবিলম্বে জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসির উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার শহরের দুই কিলোমিটার সড়ক জুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীসহ তিন সহ¯্রাধিক এলাকাবাসি অংশ নেন।

প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে শহরের শহীদ মিনার সম্মূখ সড়কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, সদস্য মো. সালাহউদ্দিন ফারুক, শিক্ষক জায়েদা ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান, প্রেস ক্লাব সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদী. সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু, অভিভাবক সাকিল আহম্মেদ নওরোজ, ফজলুল হক মণি, স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র জুলহাস শাহীন, আরিফুর রহমান সিফাত, মাশরুখ আল ওয়াসি, শিক্ষার্থী সাদিয়া রহমান মৌ, সাদিয়া হক ইফতি, জান্নাত বিনতে জাহাঙ্গীর রাকিবুল ইসলাম প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মঠবাড়িয়া সদরের প্রাণকেন্দ্রে ১৫ দশমিক ৮৪ একর জমি জুড়ে ঐতিহ্যবাহী মডেল কে.এম. লতীফ ইনস্টিিিটউশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৪৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়।
বিদ্যালয়টি দক্ষিণ উপকূলে মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। একাধিকবার মেধা তালিকায় চারবার প্রথম স্থানসহ (১৯৬৬, ১৯৬৭, ১৯৮২, ১৯৮৪) একাধিকবার মেধা তালিকায় সম্মানজনক স্থান লাভ করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি কো-এডুকেশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী(ছাত্র-৮১০ ও ছাত্রী-৬৬৫) নিয়মিত লেখাপড়া করছে। দুইটি আবাসিক ছাত্রাবাসে দুরদুরান্তের শিক্ষার্থী অবস্থান করে পড়াশুনা করছে। ৩৭জন শিক্ষক ও ৯জন কর্মচারী এখানে কর্মরত।

এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলে প্রতিবছর উপজেলা ও জেলায় এখনও সগৌরবে শীর্ষ স্থান অর্জণ করে আসছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ এ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্ব অর্জণ করে। কিন্তু দুর্র্ভাগ্য আজও প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের আওতা বঞ্চিত। এমন একটি মডেল স্কুল জাতীয়করণ না হওয়ায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বিস্মিত ও ক্ষুব্দ।

সমাবেশ শেষে জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয় সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এ বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুল জাতীয় করণের দাবিতে অব্যহত আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...