বিশেষ প্রতিনিধি >>
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় উপকূলীয় পিরোজপুর,বরগুনা,ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী জনপদে দিনভর বৃষ্ট ও জোয়ারের প্লাবন দেখা দিয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানির প্লাবনে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরে মানুষের চলাচলে চরম কষ্ট বিরাজ করছে। মঠবাড়িয়া পৌরশহরের বাসাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দক্ষিণ বন্দর ও থানাপড়া এলাকার মানুষের রান্না বান্নাসহ বাজারঘাট করা দুসাধ্য হয়ে পড়েছে। দিনভর বৃষ্টিতে জনজীবনে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে বলে ভূক্তভোগিরা জানিয়েছেন।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারী করেছে। সেই সাথে নদীবন্দরে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা অধিক) বর্ষণ হতে পারে। বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।