ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের ভাঙনে বিপন্ন বড়মাছুয়া স্টীমারঘাট

মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের ভাঙনে বিপন্ন বড়মাছুয়া স্টীমারঘাট

বিশেষ প্রতিনিধি >>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাটটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিপন্ন দশা। স্টীমারঘাটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোন মূহুর্তে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুর দিকেই স্টীমারঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুর হয়েছে। অপরদিকে স্টীমার ঘাট সংলগ্ন যাত্রী বিশ্রামাগার ভেঙ্গে পড়ায় যাত্রী দুর্ভোগও চরম আকার ধারণ করেছে।
এব্যাপারে স্টীঘাট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিকবার লিখিতভাবে অবহিত করলেও কোনও প্রতিকার মেলেনি।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮৮ সালে বিআইডব্লিউটিসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাটটি উদ্বোধন করেন। সেই থেকে মঠবাড়িয়ার একমাত্র রকেট স্টীমার ঘাটটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা-বরিশাল-খুলনা রুটের স্টীমার সার্ভিস মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের বড়মাছুয়া ঘাট হয়ে নিয়মিত চলাচল করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত নদী ভাঙনে ঘাটটি ভেঙে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। নদী তীর হতে নড়বরে সাঁকো পার হয়ে স্টীমারঘাটে উঠতে যাত্রীদের চর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া স্টীমার ঘাটের যাত্রী বিশ্রামাগারটির যাত্রী ছাউনি গত ৪/৫ বছর ধরে বিধ্বস্ত হয়ে পরে থাকায় প্রতিদিন শতশত যাত্রী সাধারণ বর্ষা ও রোদে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় খেজুরবাড়িয়া গ্রামের হেমায়েত উদ্দিন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে আমি যাত্রী বিশ্রামগারটি রক্ষানাবেক্ষণের দায়িত্বে আছি। কিন্তু গত ৪/৫ বছর ধরে বিশ্রামাগারটির টিনের চালা ভেঙ্গে পড়ার পর আর মেরামত করা হয়নি। রোদ ও বর্ষা মৌসুমে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বাধ্য হয়ে স্টীমার যাত্রীরা স্থানীয় দোকানে কিংবা পল্টনে বিশ্রাম নেয়।
স্টীমার ঘাট সংলগ্ন বাজারের বাসিন্দা আনসার আকন জানান, দীর্ঘদিন ধরে নদীতে ভাঙন চলছে। ভাঙনরোধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। স্টিমারঘাটটি যে কোন মূহুর্তে বিলীনের আশংকা রয়েছে। ইতি মধ্যে স্টীমারঘাটের বেশ কিছু দোকানপাট নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে ষ্টিমারঘাট ও বাজার ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার পথে।

বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাট বিআইডব্লিউটিসি সিনিয়র টি.এস জাকির হোসেন জানান, নদী ভাঙ্গন, স্থায়ী জেটি নির্মাণ, যাত্রী বিশ্রামাগার ও সাইক্লোন শেল্টার থেকে ষ্টিমারঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাটটি একটি জন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানের নদী ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে ঘাটটি বিলীন হয়ে যাবে। এটি জেলা পরিষদের আওতায়। তাই বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে ভাঙন রোধসহ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...