ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - মঠবাড়িয়ার এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজির আওয়ামী লীগে যোগদান

মঠবাড়িয়ার এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজির আওয়ামী লীগে যোগদান

বিশেষ প্রতিনিধি >>

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনে সয়সদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজি। ডা. ফরাজিসহ মোট ১৪ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগে যোগ দিলেন। তাঁরা গতকাল জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

ডা. রুস্তুম আলী ফরাজির আওয়ামীলীগে যোগদানের বিষয়টি ঘনিস্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, সংসদের ১৬ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা হলেন গাইবান্ধা-৪-এর আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৩ এর ছলিম উদ্দীন তরফদার, কুষ্টিয়া-১-এর রেজাউল হক চৌধুরী, ঝিনাইদহ-২-এর তাহজীব আলম সিদ্দিকী, যশোর-৫-এর স্বপন ভট্টাচার্য্য, পিরোজপুর-৩-এর রুস্তম আলী ফরাজী, ঢাকা-৭-এর হাজি মো. সেলিম, নরসিংদী-২-এর কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩-এর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ফরিদপুর-৪-এর মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মৌলভীবাজার-২-এর আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৩-এর ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪-এর রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং পার্বত্য রাঙামাটির ঊষাতন তালুকদার।

জানা গেছে, রুস্তম আলী ফরাজী বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে জাতীয় পাটি ও ২০০১ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন।তিনি ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন।

তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেইস্থানীয় বিএনপির সাথে তাঁর বৈরীতা শুরু হলে তিনি সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে কেন্দ্রে বিতর্কিত হন। ফলে তিনি মনোয়নবঞ্চিত হন।

ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর বাড়ি মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে। তিনি ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ছিলেন। পরে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ৬৯ সালে এগারো দফা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মঠবাড়িয়ার আহবায়ক ছিলেন। তিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭৮ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। সেবার নির্বাচিত হলেও এরশাদ সরকার তার ফলাফল কেড়ে নেয়। দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে। এ নিয়ে মঠবাড়িয়ায় রুস্তুম আলী ফরাজীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর ১৯৯০ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা বিলুপ্ত করে।
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদের সাবেক ডেপুটি লিডার মহিউদ্দীন আহমেদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালেও তিনি পিরোজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদা সওগাতকে পরাজিত করেন।
২০০৯ সালের নির্বাচনে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করলেও বিএনপির প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ডা. ফরাজী দ্বিতীয় হন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. আনোয়ার হোসেনকে পরাজিত করেন।
ডা. ফরাজির আ.লীগে যোগদানের বিষয়ে মঠবাড়িয়ায় আ.লীগের রাজনীতিতে নতুন কোন মোড় নেবে কিনা সেটা এখন সময়ের জন্য অপেক্ষা।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...