কবিতা-১
চৈত্রের শেষে————-
আমি বিমুগ্ধ হয়ে শুনি
বিজন ক্ষেতে সুরের ধ্বনি,
মুগ ডালের খোঁসা ফাটে চির চির
ঘাসফুল খসে পড়ে নীরবে
চৈত্রোত্তর খরতাপে আপনা সমার্পণ ৷
এই দেহদগ্ধ ভরদুপুরে, মাছরাঙাটি চুপচাপ
বসে আছে কলমির ডালে,
শুকনো খালের দু’ধার ফেটে চৌঁচির:
কচুরিপানার শেকড়ের তলে
গুঁজি বক শিকার ধরে ঘোলা জলে ৷
নিবিষ্ট মনে আমি চেয়ে দেখি
মরিচের ক্ষেতে সাদা ফুলের নীচে
টক টকে লাল মরিচের দোল,
তাহার বিরাগী রুষ্ঠ তেজে
গরম হয় গণ্ডদেশ, সর্ষেফুল ফোটে চোখে ৷
চোখ মেলি তাই সূর্যমূখীর ক্ষেতে
নুয়ে পড়েছে ওরা বয়সের ভারে
পরিপুষ্ট বীজ বক্ষকোষ ভরে
কি মহা আয়োজন! যেন ঘোষনা মঞ্চে দাড়িয়ে বলে,
যা কিছু আমার সবই তোমার তরে ৷
কবিতা- ২
আমি শিক্ষক ————————
আমার বুকে ধর ছুরি? —মাথায় পিস্তল?
(তোকে তো আমি নিজ হাতে মানুষ করেছিলাম পাষন্ড)
কলম ধরতে শিখিয়েছি, মনুষ্যত্ব শিখিয়েছি
নীতিকথা শুনিয়েছি, আচরণে কাঙ্খিত পরিবর্তন
আমি তোকে ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য দেখিয়েছি
আমার জীবনের মাঝে— হাতে কলমে ৷
আজ তোর পরীক্ষা চলছে
পথ চলার প্রথম বাস্তবতা
তোকে আমি লক্ষ্যে পৌছাব
নকল করতে দিব না,
তুই বড় অফিসার হলে আমি গর্ব করে বলি
আমি ওর শিক্ষক, আমি জাতির নির্মাতা ৷
তোর বাবা জানে— আমি কে
তোর মা কে জিগ্যেস করিস— আমি কে
তোর জন্মের পরে আমি তোকে মানুষ করেছি
ঠান্ডা মাথায় পিছনে ফিরে তাকা
দেখবি তোর অস্তিত্বের সাথে মিশে আছি
ওহে ভ্রষ্ট, আমি তোর শিক্ষক