ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - ভান্ডারিয়ায় মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র গায়েব : একদিন পর পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

ভান্ডারিয়ায় মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র গায়েব : একদিন পর পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র রহস্যজনক ভাবে গায়েব হয়ে যাওয়ার একদিন পর পরিত্যাক্ত অবস্থা উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার সিড়ির নিচে ইট দিয়ে চাপা অবস্থায় ওই উত্তরপত্র উদ্ধার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীর খাতা গায়েবের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ভান্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছে।
জানাগেছে, ভান্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার কেন্দ্রে আলিম পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ( কোড নং ২৪২) পরীক্ষা গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ঈমাম হোসেন নামে একজন পরীক্ষার্থী (যার রোল- ১৫১২৩৩) অংশ নেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রর ১ নম্বর কক্ষে ওইদিন ৩৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে । কিন্তু পরীক্ষা শেষে ৩৬টি উত্তরপত্র খাতা পাওয়া যায় । এর মধ্যে পরীক্ষার্থী ঈমাম হোসেনের উত্তরপত্র রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে যায়।
কক্ষে পরিদর্শক পৈকখালী মোমেনিয়া মাদ্রাসার প্রভাষক এনামুল হক ও উত্তর ধাওয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসার প্রভাষক গোলাম রসুল দায়িত্ব পালন করে ।
বৃহস্পতিবার( ২৭ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমান একজন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র রহস্যজনক ভাবে গায়েবের বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ( ডায়েরী নং ১০৬৮)।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে ওই মাদ্রাসার সিড়ির নিচে ইট দিয়ে চাপা অপস্থায় গায়েব হওয়া উত্তরপত্রটি উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার একজন ছাত্র জানায়, মাদ্রাসার লাইব্রেরীয়ান মো. মাহফুজুর রহমান শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ঈমাম হোসেন কে দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করে । দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পরীক্ষার্থী প্রতি উত্তোলন করা হয়। এতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। উক্ত শিক্ষার্থী টাকা তুলে সকল টাকা পরিশোধ না করে নিজে হস্তমজুদ রাখার অপরাধে পরিকল্পিতভাবে তার খাতা গায়েব করে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখলে এর সকল রহস্য জানা যাবে এবং ইতিপূর্বে উক্ত লাইব্রেরীয়ানের নকল দেয়ার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে সহকারী কমিশনার ( ভূমি)।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলনা মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন শাহিন আক্তার সুমি জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে কক্ষ পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্য বিষয় গুলি ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...