ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়া শের-ই-বাংলা পাঠাগারের আয়োজনে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

মঠবাড়িয়া শের-ই-বাংলা পাঠাগারের আয়োজনে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

মেহেদী হাসান >>
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মঠবাড়িয়া শের-ই-বাংলা পাঠাগারের আয়োজনে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাঠাগারের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্স মাহমুদ পাঠাগার আন্দোলন কর্মী মেহেদী হাসান(সাদা কাঁক) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় অংশ নেন, মো মাসুম বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল রাফি(ওহি), আব্দুল্লাহ আল ওমর, অভিজিৎ উৎস, সাজ্জাদুল ইসলাম জুয়েল, ইব্রাহীম হোসেন ইমন, মো. তামিম, মোঃ রাসেল , কৌশিক মিত্র, নিশাদ জমাদ্দার সহ প্রমূখ।
আলোচনার শুরুতে শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকলে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত আকারে তাঁর সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়,”শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক বাঙালি রাজনীতিবিদ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শের-ই-বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক অনেক পদে অধিস্তান করেছেন তার মধ্যে কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭ – ১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬ – ১৯৫৮) অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।”
আলোচনায় অভিজিৎ উৎস বলেন, “শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক আমাদের গর্ব। বাংলার এই মহান নেতাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। তার স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য।”” এরপর আব্দুল্লাহ আল রাফি(ওহি) বলেন, “জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানে আদর্শ আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তার দেশ প্রেম চেতনাকে আমাদের ধারণ করতে হবে।”
আব্দুল্লাহ আল ওমর বলেন, “তার মেধা ও অদম্য সাহসীকতা আমাদের জন্য চির শিক্ষণীয়।” সাজ্জাদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, “তার বর্ণিল জীবন হোক আমাদের আদর্শ।”
নিশাদ জমাদ্দার বলেন, “আমার গর্ব, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তার স্মৃতিতে।”
মোঃ রিয়াজুল রাসেল বলেন,”এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমাদের শক্তি। তার আদর্শে আদর্শিত হতে বলব সবাইকে।”
মোহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ(কলমগীর) বলেন, “এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যারা দলের ঊর্ধ্বে, কালের ঊর্ধ্বে। মহাকাল তাদের অস্তিত্বকে নিঃশেষ করতে পারে না। শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক তেমনই একজন। আমি তার মাগফিরাত কামনা করি।”
প্রধান আলোচক মঠবাড়িয়া সাইকেলিষ্ট গ্রুপের সঞ্চালক প্রিন্স মাহমুদ শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক এর বর্ণাঢ্য জীবন উল্লেখ করে বলেন, “জাতির এই মহান পুরুষ আমাদের জাতীয় চেতনার সর্বত্র বিরাজমান। তার আদর্শ, প্রজ্ঞা, নীতি, সাহস অবশ্যই আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।”
পাঠাগারের অন্যতম সদস্য ও তরুণ সাহিত্যিক কবি মেহেদী হাসান(সাদা কাঁক) বলেন, “মহান পুরুষকে শ্রদ্ধা চিত্তে স্মরণ করছি, তার স্মৃতিতে অজস্র ফুলেল শুভেচ্ছা। তিনি আমাদের নীতি ও আদর্শের মহান শিক্ষক হয়ে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকুন।” সব শেষে তার আত্মার শান্তি কামনায় এই আলোচনা শেষ হয়।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...