১৯৭১ সনে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য তিনি যা ভেবে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয় করণ করেন তা ছিল জাতিকে শিক্ষিত করা আর করতে হলে প্রথমস্তরকে শিক্ষিত করা।তাই সে দিন কারোর কথা না শুনে এক কথায় ঘোষনা দেন প্রাথমিক শিক্ষা সরকারী করা হল। আজ শিক্ষার উন্নয়ন ঘটেছে প্রাথমিক স্তরে প্রায় ১০০%।শিক্ষার আরো উন্নয়ন ঘটাতে হলে পরবর্তি ধাপকে উন্নতি করা প্রয়োজন।
আমাদের বুঝতে কষ্ট হয় জাতির জনকের সুযোগ্য উত্তরসুরী বর্তমান সরকার কোন ভাবনায় মাধ্যমিক স্তর উপেক্ষা করে কলেজ স্তরকে জাতীয় করন করছে? একটি উদাহরন দিয়ে বুঝাতে চাই যে,একটি ঘরের মেঝ পাকা করা হল খাচা বা কাঠামো তৈরী করা হল খারাপ কাঠ দিয়ে আর ছাদও পাকা করা হল। বলুন ঘরটি মজবুত হবে কি? শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর হল কাঠামো এটি দুর্বল রেখে ভাল শিক্ষা মান্নোনয়ন সম্ভব? যে স্তরে শিক্ষার গুনগত মানবৃদ্ধি না করলে উচ্চস্তরে মানবৃদ্ধি সম্ভব নয় সে স্তর উপেক্ষিত।প্রাথমিক স্তরে শিশুরা কিছুই বুঝে না শুধু মুখস্ত করে জ্ঞান অর্জন করে। অনুধাবন বা ভাবার স্তর হল মাধ্যমিক স্তর। ভাবার সুযোগ না দিয়ে প্রয়োগিক স্তরে কাজ করার সুযোগ দিলে কি কাজ হবে? একবার ভাবুন।দেশের ৮০% হতদরিদ্র পরিবারের কর্মক্ষম সন্তানরা মাধ্যমিক স্তর পাস করেই আর্থিক কারনে জীবিকার টানে চাকুরীতে বা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে সে স্তরকে জাতীয় করন না করে কোন ভাবনায় বা স্বার্থে কলেজে পর্যায় জাতীয় করন করা হচ্ছে? মাত্র ২০% ধনীর সন্তান যে স্তরে পড়বে সে স্তরকে কেন জাতীয় করণ? মানব সম্পদকে কর্মের হাতিয়ার বানাতে চাইলে মাধ্যমিক স্তরকে জাতীয় করণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। যেখানে বছরে ২২৫-২৪০ দিন শ্রেণি পাঠদান করতে হয় একজন শিক্ষককে প্রায় সকল বিষয়। পাঠদান করাতে হয় ১০-৪ টা পর্যন্ত তাদের উপেক্ষা করে উন্নয়নের আশা করা যায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে অনুগ্রহ ভেবে দেখবেন আপনার কি করা উচিত?
লেখক > এইচ,এম,আকরামুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষক,তুষখালী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মঠবাড়িয়া ।