আত্মহত্যার প্রবণতা একটি মানসিক রোগ। আমাদের বহু কিশোর-কিশোরীদের মাঝে এ প্রবনতা ছড়িয়ে পড়ছে। আত্নহত্যার চিন্তাভাবনার কিছু কারন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়.একাকীত্বের ভাব,অসহায়তা,নিরাশ মনোভাব,হতাশা,উদ্বিগ্নতা,সিদ্ধান্তহীনতা,সুখহীনতা মনোভাব কিশোর কিশোরীদের মনে এক প্রকার বিষণ্নতা নিয়ে আসে।বিষণ্নতা মানুষের মনের জোর কমিয়ে দেয়,কাজের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে ফেলে,নিজেকে অপরাধী মনে করে,মনের মধ্যে উদ্বেগ ভাব সৃষ্টি হয়।
বিষণ্ন মন খুঁজে বেড়ায় সারাজীবনে কি কি খারাপ করেছে এবং এই পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার প্রয়োজন নেই এমনটিও ভাবে।সকল অনাকাঙ্খিত কাজের জন্য নিজেকে দায়ী মনে করে এবং এর প্রায়শ্চিত্তের জন্য আত্নঘাত বা আত্নহত্যার চিন্তাভাবনা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে কলেজের ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে ৫৮%প্রন বিনাশের কথা ভাবে,যদিও আত্নহত্যা অসুস্থতা নয়,আত্নহত্যা হলো অস্বাভাবিক মনের সমস্যার সমাধান।অনেকের ধারনা_যারা আত্নহত্যা করবে একথা বলাবলি করে,তারা কখনই এ কাজ করে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো শতকরা ৭০-৮০ ভাগ আত্নহত্যাকারী আগে থেকে আশপাশের মানুষকে এই ইচ্ছাটির হাবভাব বা কথাটি জানিয়ে রাখে?
আত্নহত্যার কারন:
১.প্রেমে ব্যর্থতা।
২.বেকারত্ব।
৩.আর্থিক অনটন।
৪.আত্নীয়-স্বজনের ব্যবহারে ক্রমাগত অশান্তি।
৫.সামাজিক বিপর্যয়।
৬.দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি।
৭.দীর্ঘস্থায়ী রোগে অক্রান্ত থাকা।
৮.কোনো বিশেষ ঘটনার পারিপাশ্বিকতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সমস্যা হলে।
৯.বিষণ্নতায়।
১০.অস্বাভাবিক আবেগ।
১১.পরিবারের অন্য কারো আত্নহত্যার ঘটনায়।
১২.নেশার আসক্তি। ১৩.প্রিয়জন হারানোর উপলব্ধি।
১৪.কোনো বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে।
১৫.বড় ধরনের পার্থিব ক্ষতি হলে।
১৬.প্রিয়জনের কাছে বিশ্বাসঘাতক হলে।
১৭.জেদে পড়ে সত্য প্রমাণ করার জন্য।
আপনার কোনো প্রিয়জন যদি এ অবস্থার সংকটপন্ন হয়,তাহলে_তাকে বিনোদন দিয়ে,তার সঙ্গী হয়ে,আর্থিক সহায়তা দিয়ে,তাঁকে বাস্তব জ্ঞান দিয়ে সাহায্য করতে হবে, সচেতনভাবে নজরে রাখুন আপনার প্রিয়জনের প্রতি ।
লেখক:আল আহাদ বাবু, শিক্ষার্থী,মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ ।