ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী ভাতা বঞ্চিত বেসরকারী শিক্ষক

বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী ভাতা বঞ্চিত বেসরকারী শিক্ষক

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। তখন বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পরদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন এবং উৎসবের আয়োজন করতেন। এদের সাথে সাথে দোকানদাররা তাদের বকেয়া পাওনা পরশোধের জন্য হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেন। ১৯১৭ সালে প্রথম নববর্ষ উৎযাপন হয়। ১৯৩৮ সালেও অনুরুপ। ১৯৬৭ সালে ঘটা করে পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঢাকার রমনার বটমুলে (অশ্বথথ তলায়) পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনষ্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। মুঘল আমল থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষবরণ বা বর্ষ বিদায় উপলক্ষে মেলার আয়োজন ঘটে। ঈশা খাঁর সোনার গাঁওয়ে বউ মেলা, ঘোড়া মেলা বসে। পুর্ব ও পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী ঐতিহ্যেই গড়ে উঠে সকল মানুষ। রাজনীতিবিদরাও বাঙালী। বাংলার ঐতিহ্যেই বাঙালী ঐতিহ্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার ব্বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। জাতির জনকের তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন খাটি বাঙালী। তিনি ক্ষমতায় এসেই বাঙালী ঐতিহ্য রক্ষায় বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্ষবরণ উৎসবকে জাতীয় উৎসবে পরিনত করতে সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে এসেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে। বাংলা বর্ষবরণ বাঙালী জাতির চেতনার উৎস হিসেবে ধরে রাখতে স্কুল কলেজের শিক্ষকরা বদ্ধপরিকর। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালী জাতির চেতনার বহ্নিশিখা হিসেবে বৈশাখী ভাতা প্রবর্তন করেছেন। কিন্তু যাদের উদ্যোগে, যাদের কর্ম প্রেরণার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসব জাতীয় উৎসবে পরিনত হয়েছে তাদেরকে বাদ রাখা হয়েছে বৈশাখী ভাতা থেকে। বেসরকারী স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরাই বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে জাতীয় উৎসবে পরিনত করেছে। যারা আজকের না চাইতেই বোইশাখী ভাতা পাচ্ছেন তাদের কেউ কেউ আছেন যারা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে ইসলাম বিরোধী বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। শিক্ষকদেরকে নি্রুৎসাহিত করেন। অথচ তারা এমনিতেই পেয়ে গেছেন। আর যারা অনেক আনন্দ, উদ্দীপনা, উৎসাহ নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের কালো ব্যাজ ধারণ করে বৈশাখী উৎসব পালন করতে হচ্ছে। বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের এই আনন্দ উৎসব নিরানন্দে পরিনত হচ্ছে। তারপরও বাঙালী হিসেবে উৎসব চালিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা থেকে দূরে রাখতে পারেন না। শিক্ষকদের দাবী করে চেয়ে নিতে হবে এটা কিন্তু কাম্য নয়। আশা করি শিক্ষকরা বঞ্চিত থাকবে না এটাই প্রত্যাশা।
লেখকঃ মো. আলমগীর হোসেন খান, অধ্যক্ষ, মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...