ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়া উপকূলে সূর্যমুখীর হাসি

মঠবাড়িয়া উপকূলে সূর্যমুখীর হাসি

দেবদাস মজুমদার >>

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশাল উপকূলজুড়ে কিছু জমি বছরজুড়েই পতিত পড়ে থাকে। উপকূলের জীবনধারার সঙ্গে মানানসই কৃষিতে ধানের আবাদ সম্প্রসারিত। অঞ্চলভেদে অন্য শস্যবীজের আবাদও চলে আসছে। কিন্তু সেচ সংকটের পাশাপাশি লবণের আগ্রাসনে পতিত জমিগুলো কৃষি উৎপাদনে কোনোই কাজে আসে না। এ অবস্থায় পিরোজপুর উপকূলে গত তিন বছর ধরে সূর্যমুখী আবাদের সম্প্রসারণ ঘটেছে। সেই সুবাদে কৃষকের ভাগ্য ফেরানোর মাধ্যম হয়ে উঠছে পতিত পড়ে থাকা জমিগুলোও।

কৃষি বিভাগের মতে, কিছুটা লবণসহিষ্ণু ফসল সূর্যমুখী। তবে এ অঞ্চলের কৃষকরা দুই বছর আগেও এই তেলবীজ আবাদে তেমন আগ্রহী ছিল না। বর্তমান সময়ে এসে প্রত্যন্ত গ্রামে এখন হামেশাই চোখে পড়ে সূর্যমুখীর ক্ষেত। অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখীর হাসি এখন কৃষকের কাছে নতুন এক সম্ভাবনার ফসল। মঠবাড়িয়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সাম্প্রতিককালে সূর্যমুখির আবাদ বাড়ছে। কৃষকরা পতিত জমিতে সূর্যমুখির আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। সূর্যমুখি আপদকালিন একটি তৈল ফসল। বাণিজ্যিকভাবেই কৃষরা এর পরিকল্পি আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।

মঠবাড়িয়ার ১১টি ইউনিয়নের অন্তত ছয়টির চার শতাধিক কৃষক অনাবাদি ও পতিত জমিতে এবার সূর্যমুখীর পরিকল্পিত আবাদ করেছেন। সরেজমিনে উপজেলার গুলিসাখালী, টিকিকাটা, আমড়াগাছিয়া, সাপলেজা, বেতমোর ও বড়মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে সূর্যমুখীর আবাদ চোখে পড়েছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ২৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ আটটি প্রদর্শনী প্লটে বীজ ও সার বিনা মূল্যে দিয়েছে। এর বাইরে স্ব-উদ্যোগে আরো ৪০০ কৃষক তাঁদের অনাবাদি জমিতে এবার সূর্যমুখী আবাদ করেছেন। এটা এই উপকূলে নতুন ধরনের ফসল। ফলন ভালো ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে। হেক্টরপ্রতি তিন থেকে সাড়ে তিন টন সূর্যমুখী ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

গুলিসাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের চাষি নিরঞ্জন কীর্তনিয়া, পঙ্কজ হালদার জানান, সূর্যমুখী একটি লাভজনক ফসল। এই মৌসুমে অনেকেই এবার সূর্যমুখী আবাদ করে লাভের আশা করছেন। অনাবাদি জমিতে খুব সহজেই সূর্যমুখীর আবাদ করা সম্ভব। এই তেলবীজ চাষে জমির উর্বরতাও বাড়ে।

গুলিসাখালী কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হরষিত চন্দ্র কীর্তনিয়া বলেন, সূর্যমুখী অর্থকরী তেলবীজ ফসল। অনাবাদি জমিতে এবার কৃষকরা এর আবাদ করে এই ফসলের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন। তবে সেচ সংকটে চাষে কিছু সমস্যা হচ্ছে।

>>প্রতিবেদনের ছবিটি মঠবাড়িযার বান্ধবপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে শুক্রবার বিকালে তোলা

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...