ফারুক হোসেন খান,কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি >>
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠির কাঠালিয়া -আমুয়া বরগুনার বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়কে আমুয়া হলতা নদীর ওপর নির্মাণ সম্পন্ন আমুয়া সেতু উদ্বোধনের আগেই সেতুর দুই পাড়ের এক কিলোমিটার এ্যাপ্রোচ সড়কে ধস নেমেছে ।
সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ায় সেতু উদ্বোধনে নুতন করে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে। এতে ঝালকাঠি কাঠালিয়া বামনা পাথরঘাটা মঠবাড়িয়া বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সেতুটি ২০১৬ সনের জুন মাসে উদ্ধোধনের কথা থাকলেও সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণের কাজে ধীরগতির কারণে কেটে গেছে এক বছর। নুতন করে এখন এ্যাপ্রোচ সড়কে ধ্বস নামায় সেতু চালু হওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘ প্রতিক্ষার মধ্যে পড়ল।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর উত্তর পাড় আমুয়া পাড়ে আধা কিলোমিটার ও ছোনাউটা পাড়ে এক কিলোমিটার বাইপাস সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়েছিল। টানা তিনদিনের বৃষ্টির কারণে দুই পাড়ের সড়কের বিভিন্ন অংশ ধ্বসে পড়েছে।
জানাগেছে, ঝালকাঠি কাঠালিয়া আমুয়া হলতা নদীর ওপর ২১৭.৬৮ মিটার পিসি গার্ডার সেতু সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে ২০১৪ সনের ১২ অক্টোবর থেকে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। জমি অধিগ্রহনসহ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যায় ৪৫ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও জমি অধিগ্রহনের জন্য এক বছর পিছিয়ে যায়।
আমুয়া বন্দরের ব্যবসায়ীরা ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এক বছর পিছিয়ে যাবার পরও আমরা আশা করেছিলাম এ বছর জুন মাসে সেতু চালু হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ করার কারণে সংযোগ সড়কে ধ্বস দেখা দিয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম খান গ্র“প দাবী করছে সঠিক সময়ে তারা সেতু চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে কাজ বুঝিয়ে দেবে ।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা এখনও কাজ বুজে নেইনি। নুতন সড়কে নুতন মাটি ভরাটের কারণে অতি বর্ষণে রাস্তা কিছুটা বিধ্বস্ত হতে পারে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে উপযোগী করে সড়ক নির্মাণ করতে।