আল আহাদ বাবু >
আর কিছুদিন পর এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে, তারপরেই শুরু হবে নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়ার যুদ্ধ। ছেলে-মেয়েদের এই ভর্তি নিয়ে শুরু হবে নানা তোড়জোড়। বিভিন্ন কলেজ থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করা, একাধিক কলেজে ঘুরে ঘুরে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া, নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল দেখা আর এমন কঠিন যুদ্ধে অংশগ্রহন করার পূর্বে শুরু হবে দীর্ঘমেয়াদি মহড়া। নানা ভর্তি কোচিংয়ে দৌড়ানো,মডেল টেস্ট দেয়া,সকালে গৃহশিক্ষক আসবেন,বিকেলে কোচিংয়ে যেতে হবে আবার রাতে টিচারদের পড়া শিখতে হবে।
কিন্তু কোমলমতি এসব ছেলেদের কোনো বিশ্রাম নেই,নেই কোনো অবসর।তাদের ভিতরটা এ সময় চাপে পরিপূর্ন থাকে
সেই সঙ্গে মায়েদের উৎকন্ঠার শেষ নেই,তাইতো সারক্ষন সন্তানের পেছনে মায়ের কড়া নজর_”ভালো করে পড়ো,নইলে ভালো কলেজে ভর্তা হতে পারবে না,নামকরা কলেজে ভর্তি করানো যাবে না”, এভাবে আরও কত কী?
শিক্ষার্থীরা মায়েদের এ রকম কথা শুনতে শুনতে একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে পড়ে,আর এভাবেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য বছরজুড়ে যে প্রস্তুতি তা মানসিক বিকাশে বাধা দান করে এসব শিক্ষার্থীদেরকে।
কিন্তু বাবা-মায়েরাও যেন এক প্রকার অসহায়,সীমিত আসনসংখ্যার জন্য অনেক প্রতিযোগী অংশ নেয়।যেমন:১০০ আসন সংখ্যার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ৮০০ কিংবা ১২০০ প্রতিদ্বন্ধী অংশ নেয়,সেখানে তার সন্তান টিকতে নাও পার?তাইতো প্রতিযোগীতায় টিকে থাকেতে এক পর্যায়ে অনেক সময় বাধ্য হয়েই অনেক কঠিন বোঝা ছেলে মেয়েদের মাথায় চাপিয়ে দেন অভিভাবকেরা!
কিন্তু এত চাপ, আর বাবা/মায়ের এমন কড়া নজরদারিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে; ভর্তিসংক্রান্ত এমন মানসিক চাপ অস্থির করে তোলে এসব তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে; ভর্তিযুদ্ধে অকৃতকার্য হলে,তারপর অভিভাবকদের সাথে ছেলে/মেয়েদের এক ধরনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়,তারপর শুরু হয় নতুন কলেজ জীবন!
» লেখক: আল আহাদ বাবু ,মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ ।