পিরোজপুর প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ২০১৬ সালে ৫৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় কয়েক ধরনের অপরাধের সংখ্যা কমে এসেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় পরিচালিত এসব আদালত ৫৫জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড প্রদান করেছে। অর্থ দন্ডের আদেশ দিয়ে ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৫০ টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সংশ্লিষ্ট খাতে জমা দিয়েছে। এর ফলে আইন অমান্য করার প্রবণতা অনেকাংশে কমে গেছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিচার শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সঞ্জিব দাস জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটরা এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন এবং অপরাধের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাৎক্ষণিক কারাদন্ড অথবা অর্থদন্ড এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে উভয় দন্ডের আদেশ দিয়েছেন। যেসব অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং, মাদক, পণ্যেপাটজাত দ্রব্য ব্যবহার না করা, মটর যান আইন লংঘন, ড্রাগ এ্যাক্ট লংঘন, ইট বাটা, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার, পঁচা-বাসি খাবার বিক্রি, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ইত্যাদি।
এ জেলায় গত ১ বছরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বেন্ধি জালসহ অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ শিকারের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ কোটি টাকার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রবীন আইনজীবী এম এ মান্নান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাৎক্ষণিক দন্ড দেওয়ার ফলে পিরোজপুরের শান্তিপ্রিয় এবং আইন মান্যকারী জনসাধারণ উপকৃত হয়েছে।