পারিশ্রমিকের বাইরেও চলচ্চিত্রশিল্পীরা প্রযোজকদের কাছ থেকে দৈনিক ভাতা পান। এই ভাতাই এবার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতি, শিল্পী সমিতি, নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থাসহ চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এক সভায় সিদ্ধান্ত নেন, ঢাকাই সিনেমার সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক মন্দা বিবেচনা করে শিল্পীদের দৈনিক ভাতা কমানো হবে।
এছাড়া শুটিং-এর কলটাইমসহ বিভিন্ন বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সূত্রে জানা গেছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শিল্পীদের শিডিউল মেনে চলতে হবে। যদি কেউ পর পর তিন দিন শুটিং-এর কলটাইম না মানেন, তবে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কলাকুশলীদের ১০ ঘণ্টা ও শিল্পীদের জন্য ৯ ঘণ্টা শুটিং-এর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরো বলা হয়েছে, যদি কোনো চলচ্চিত্র দুই থেকে পাঁচ শিফটের জন্য আটকে থাকে সেই চলচ্চিত্রের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করে নতুন চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করতে হবে।
নীতিমালা নিয়ে গ্লিটজের সঙ্গে আলাপে শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ওমর সানি বলেন, “গুটিকয়েক শিল্পীর কারণে আমরা সিস্টেম লসে পড়েছি। আমাদের চলচ্চিত্রে মেধাবী পরিচালকের সঙ্কট রয়েছে, এ কথা তো আমরা জানি। কজন শিল্পীকে নিয়ন্ত্রন করা গেলেই দৈনিক ভাতা নিয়ে এ সমস্যা হতো না। শিডিউল ইস্যু নিয়েও এত কথা হত না।”
আরো বললেন, “শিল্পীদের শিডিউলের ক্ষেত্রেও পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে লিখিত চুক্তি হওয়া উচিত। চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত সময় শিল্পীদের কাজ করা উচিত নয়। শিল্পীদের পারিশ্রমিকের রশিদও থাকা উচিত শিল্পী সমিতি-প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতির কাছে।”
চলচ্চিত্রশিল্পীদের পারিশ্রমিক ইস্যুতে আলাপ করতে প্রযোজক-পরিচালকরা শাকিব-অপু-ববি-শুভ-বাপ্পী-পরীমনিসহ প্রথম সারির নায়ক-নায়িকাদের একটি বিশেষ সভায় ডেকেছেন বলে জানালেন চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন দিলু। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর নভেম্বরের শেষে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন বলে মনে করছেন দিলু।