‘মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বখাটের অশালীন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ব্লেড দিয়ে এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে বখাটে। এ ঘটনায় আহত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে বখাটে মিঠু মিস্ত্রী(১৪) ও তার সহযোগি শাহাদাৎ হোসেন(২৫) নামে দুই বখাটের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল দিবাগত রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বখাটে মিঠু মিস্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ও পৌর শহরের পান বিক্রেতা নাছিমা বেগমের মেয়ে স্থানীয় কে.এম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী হিরা মনি (১৬) কে একই এলাকার মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর বখাটে ছেলে মিঠু মিস্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীর মা পৌর শহরে পানি সরবরাহ করতে যায়। এ সময় মেয়েটি একাকী ঘরে বসে পরীক্ষার পড়া পড়ছিল। এই সুযোগে বখাটে মিঠু মিস্ত্রী তার সহযোগী শাহাদাৎ হোসেনকে নিয়ে মেয়েটির ঘরে ঢুকে পুনরায় তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় বখাটে মিঠু তাকে জোরপূর্বক ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় সে ডাক চিৎকার দিলে মিঠু তার সাথে থাকা ব্লেড দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধারালো ব্লেড দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে পালিয়ে যায়। এতে তার গলা ও হাত জখম হয়। পরে প্রতিবেশীরা আহত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় সে চলতি জেএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বখাটে মিঠু মিস্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত বখাটে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে।