ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় নবম শ্রেণী পড়–য়া স্কুল ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ের আয়োজন করার অভিযোগে কনের বাবা হাবিবুর রহমানকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ সোমবার দুপুরে ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামে বিয়ে বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দসের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযুক্ত কনের বাবা হাবিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযুক্ত কনের বাবা অপরাধ স্বীকার করলে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই সাথে আদালত এ বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেয়। দন্ডিত হাবিবুর পেশায় একজন জেলে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামের জেলে হাবিবুর রহমানের মেয়ে
চরখালী খাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ময়না আক্তার(১৩) এর সাথে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বলতলা গ্রামের বর মিরাজুল ইসলামের(২৫) সাথে আজ সোমবার দুপরে বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে ময়নার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বাবা এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করেছিল।
এসময় বরপক্ষ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার আগেই স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ পথ থেকে সটকে পড়ে। এমন অবস্থায় ময়না আক্তারের বাল্য বিয়ে পন্ড হয়ে যায়। পরে পুলিশ কনের বাবা হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
শেষে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনের বাবাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশ দেন।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার সহকারী উপ পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন জানান , স্কুল ছাত্রী ময়না আক্তারের প্রকৃত জন্ম তারিখ ২০০৩ সালে । তবে তার বাবা বাল্য বিয়ে দিতে মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের সনদ ফ্লুইড দিয়ে মুছে ১৯৯৮ সালে জন্ম তারিখ লিখে এ বিয়ের আয়োজন করে।
বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ময়না আক্তার জানায়, সে আরও পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাড়াতে চায়।