মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে ধর্ষণে চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর মুখাবয়ব ক্ষত বিক্ষত করে গুরুতর জখম করে সঞ্জিব মিস্ত্রী(২৮) নামে এক বখাটে। আঝজ বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই স্কুল ছাত্রী বখাটের হামলার শিকার হয়। আহত স্কুল ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । স্থানীয়রা অভিযুক্ত বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বখাটে সঞ্জিব মিস্ত্রী পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের ধলু মিস্ত্রীর ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, গত এক সপ্তাহ আগেউপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের পিসতুতো ভাই নীল রতনের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
হাসপাতাল ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ওই স্কুল ছাত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল। এসময় পথে মেয়েটিকে একা পেয়ে বখাটে সঞ্জিব তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে হত্যার হুমকি দিয়ে পাষন্ড বখাটে মেয়েটির মুখম-ল ক্ষতবিক্ষত করে। এসময় বখাটে মেয়েটির মুখের মধ্যে হাত দিয়ে জিহ্বা টেনে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। ওই স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে বখাটে সঞ্জিব পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে আটক করে। আহত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাশেদ বখাটের কঠোর বিচার দাবি করে বলেন, স্কুল ছাত্রীর ওপর অভিযুক্ত বখাটে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে মুখাবয়ব ক্ষত বিক্ষত করেছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে । অভিযুক্ত বখাটের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।