মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমনি হাসানিয়া দাখিল মাদ্রসার সুপার ও কাজী মাওলানা আবদুল আজিজ এর বিরুদ্ধে তারই মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। রবিবার আদালতে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের চায়ের দোকানদার সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদারের নবম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রী সালমা আক্তার(১৬)কে একই গ্রামের মৃত রুস্তম আলী দফাদারের ছেলে আনছার উদ্দিন আকাশ (২৫) গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার হলতা গ্রামের ছাত্রীর মামা বাড়ী থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রী সালমার বাবা সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে একমাস পর সূর্যমনি হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও কাজী আবদুল আজিজ তার বাসায় বসে গত ১ অক্টোবর আনছার উদ্দিন আকাশ ও সালমা আক্তারের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। সেখানে উভয় পক্ষের কোন অভিভাবক ছাড়াই মাত্র ৮০হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাজী বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। এছড়া বিয়ের কাবিন নামায় সালমার জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ২০/১২/১৯৯৭। প্রকৃত পক্ষে জন্ম সনদ অনুযায়ী সালমার জন্ম তারিখ ১০/১১/২০০০। এদিকে সালামার বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বিয়ের বর আনছার উদ্দিন আকাশের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠায়।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত কাজী আঃ আজিজকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ জানান, সুপার কাজী সাহেব আইন অমান্য করে অনেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে পড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুপার কাজী আঃ আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, ভবিষ্যতে আর এধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটবেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ইতিপূর্বে মাদ্রাসার সুপার আবদুল আজিজ স্থানীয় নুরুল হকের মেয়ে আমেনার বাল্য বিয়ে দিয়েছেন। মাদ্রাসার দপ্তরি মালেকের দুই কন্যাকে বাল্য বিয়ে পড়িয়েছেন। এছাড়া বরগুনায় বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে ওই কাজীর বিরুদ্ধে মামলা হলে ২০০৩ সালে একমাস তিনি হাজতে ছিলেন।