মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া মনি আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে স্বামীর বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর স্বামী মিলন কাজি স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূ পার্বত্য চট্রগ্রামের রাঙুনিয়া উপজেলার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। থানা পুলিশ ওই গৃহ বধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠিয়েছে । দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামীর পিটুনীতেই সে মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গাড়ি চালক মিলন কাজী ৫ বছর আগে মনি আক্তার কে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তাদের পরিবারে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি কোরবাণীর ঈদে স্ত্রী মনি বেগম ও সন্তান কে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে স্ত্রী মনি বেগমের স্বর্ণালংকার জোরপূর্বক বিক্রি করে দেয়।স্বর্ণ বিক্রীর টাকা ফেরত বাবার বাড়ি যেতে চাইলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে মিলন স্ত্রী মনি বেগমের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। সোমবার সন্ধায় মারধরের এক পর্যায় মনি অচেতন হয়ে পড়লে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী মিলন পালিয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।