বামনা(বরগুনা) প্রতিনিধি >
বরগুনার বামনায় আজ শনিবার সকালে দীপা রানী (১৫)নামে বাল্য বিয়ের শিকার এক কিশোরী রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ওই কিশোরী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি দীপা মানসিক রোগে ভুগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামের সুমন্ত দাসের মেয়ে দীপা ২০১৫ সালে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী থাকা অবস্থায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবার তাকে বিয়ে দেয় । এরপর তার লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতাল ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে , কিশোরী দীপা রানী বামনা সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকাকালীন ২০১৫ সালে দীপার অমতে তার পিতা পার্শ্ববর্তী মঠবাড়ীয়া উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের সজল অধিকারীর সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সাথে কিশোরীর দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন আগে দীপা রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এ নিয়ে কয়েক দফায় দুই পরিবারের মধ্যে শালিস বৈঠক হলেও ঘটনার মিমাংসা হয়নি। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে মূমুর্ষূ অবস্থায় দীপাকে পরিবারের লোকজন বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেেেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
দীপার বাবা সুমন্ত দাস জানায়, সকলের অগোচরে বসত ঘরের দোতালার আড়ার সাথে গলায় দীপা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, দীপার মৃতদেহ দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বামনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দাযের হয়েছে । লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।