ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - ভান্ডারিয়ায় দোকানে আটকে হাত পা বেঁধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা

ভান্ডারিয়ায় দোকানে আটকে হাত পা বেঁধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা

ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মাদ্রাসা পড়ুয়া প্রথম শ্রেণীর দরিদ্র একটি মেয়ে শিশুকে (৮) একা পেয়ে দোকানের ভেতর আটকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় নির্যাতিত শিশুটির পরিবার থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দাবি করে না পেয়ে আল আমীন হাওলাদার (৪৫)নামে এক ব্যবসায়ি ও সাবেক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির মা রাশিদা বেগম বাদি হয়ে ঘটনার ১০ দিন পরে আজ রবিবার পিরোজপুর অতিরক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত আল আমীন শহরের কলেজ মোড় মহল্লার বাসিন্দা আ. হাশেম হাওলাদারের ছেলে । সাবেক সেনা সদস্য আল আমীন ভা-ারিয়া পৌর শহরের কলেজ মোড় এলাকার সেনা ভ্যারাইটি স্টোর নামে একটি দোকান রয়েছে।
নির্যাতিত শিশুটির মা একমাত্র শিশুটিকে নানা ও নানীর কাছে রেখে চট্রগ্রামে শ্রমিকের কাজ করে আসছে। শিশুটি ভান্ডারিয়া পৌর শহরের কলেজ মোড় মহল্লার মাদ্রাসাতুল উলুম খানকা এমদাদীয়া আশরাফিয়া কমপ্লেক্সে প্রথম শ্রেণীতে লেখা পড়া করছে।

ভূক্তভোগি পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, গত ১৮ আগষ্ট দুপুর একটার দিকে মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে নির্যাতিত শিশুটি ভা-ারিয়া শহরের কলেজ মোড় এলাকার সেনা ভ্যারাইটি স্টোর নামে একটি দোকানে শিশুটি আশ্রয় নেয়। এসময় ওই দোকানের মালিক মো. আল আমীন হাওলাদার নিজ দোকানে একা অবস্থান করছিল। সে শিশুটিকে একা পেয়ে চকলেট খেতে দেয় এক পর্যায়ে শিশুটিকে দোকানের ভেতরে নিয়ে আটক করে। এরপর সে শিশুটির দুই হাত পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. সেলিম ওই দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দোকানের ভেতর শিশুটির কান্নাকাটির আওয়াজ শুনতে পেয়ে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে হাত বাঁধা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। নির্যাতিত শিশুটির মা গত বুধবার চট্রগ্রাম থেকে বাড়িতে ফিরে এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিষয়টি থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ দেন। কিন্তু এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার কোন বিচার না পেয়ে ক্ষুব্দ মা গত বুধবার বিকালে লম্পট দোকানদার আল আমীনের দোকানে উপস্থিত হয়ে তাকে ঝাড়– দিয়ে পিটুনী দেন।

এদিকে নির্যাতিত শিশুটির মা রাশিদা বেগম অভিযোগ করেন, থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আসামী আল আমীন নানাভাবে এখন হুমকী দিচ্ছে।

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ নিয়ে মেয়েটির মা থানায় এসেছিল। তবে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় মামলা গ্রহণ যায়নি।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...