মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি > ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে মঠবাড়িয়া পৌরসভা কর্তৃক ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরনে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিজিএফ কার্ডধারী দুস্থ মানুষের অভিযোগ মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ চাল পরিমাপ না করে বালতি ভরে ইচ্ছেমত বিতরণ করেছে। এতে সংশ্লিষ্ট দুস্থরা ৭ কেজি করে চাল ওজনে কম পেয়েছেন।
পৌর প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঠবাড়িয়া পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬০০ ২০ জন দুস্থ ভিজিএফ কার্ডধারীদের জন্য জনপ্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দুস্থদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কার্ডপ্রতি ২০ কেজির পরিবর্তে ১২/১৩ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। দাড়িপাল্লা ছাড়াই একটি বালতি ভরে দুস্থদের চাল বিতরণ করে কারসাজির মাধ্যমে ৭ কেজি করে কম দেওয়া হয়।
চাল পেয়ে ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কার্ডধারী ইউনুস বেপারী, ৫নম্বর ওয়ার্ডের মাইনুল ইসলাম, দুলাল ও নাজমুল মিয়ার চাল পরে দাড়ি পাল্লায় ওজন দিয়ে তারা দেখেন যে ৭ কেজি করে কম।
ভূক্তভোগি দুস্থরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোগো গরীবের ঈদের চাউলও বড়লোকগো মাইরা খাওন লাগে ক্যান ? বালতির মাপ দিয়া মোগো ২০ কেজি স্থলে ১২/১৩ কেজি চাউল দেওয়া হইছে।
পৌর শহরের ৫ নম্বও ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো, নাজমুল মিয়া বলেন, আমাগো চাউল মাইপ্পা দেয়নাই। একটা বালতি ভইরা চাউল দিয়া দিছে। ঘরে নিয়া মাইপা দেহি ৭ কেজি চাউল কম।
পৌরসভার একটি সূত্রে জানাগেছে, কার্ডপ্রতি ৭ কেজি হিসেবে ৩২ হাজার ৩শত ৪০ কেজি চাল কম দেয়া হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯ লাখ ৭০ হাজার ২শত টাকা।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর হোসাইন মোল্লা ক্ষোভ প্রকার করে বলেন, বেশ কয়েকজন দুস্থ মানুষ ঈদেও চাল ওজনে কম পাওয়ার অভিযো করেছেন। দুস্থ মানুষের চাল নিয়ে নয়ছয় অন্যয় । তিনি আরও বলেন, শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে চাইলে কাউন্সিলর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন “ স্যার আপনি আমার নামে মামলা কইরা দেন ।”
এ ব্যাপারে পৌর সভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মঞ্জুর রহমান শিকদারের নিকট দুস্থদের চাল কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনে ৫ কেজি করে চাল বিতরন কর। তাতে আপনাদের কি ?
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ঘাটতি ও পরিবহন খরচ সমন্বয় করতে ওজনে ২/১ কেজি কম দিতে পারে কিন্তু জনপ্রতি ৭ কেজি চাল কম দেওয়ার কথা আমার জানা নাই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম ফরিদ উদ্দিন জানান, দুস্থদের মাঝে চাল কম দেওয়ার কথা নয়। তবুও খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।