মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : মঠবাড়িয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে বিষপান করে হাফসা বেগম (২৫) নামে এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। হাফসার বাবা-মায়ের দাবী স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নির্যাতনে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। হাফসার মৃত্যুর পর হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে স্বামী, শশুর-শ্বাশুড়ি আত্মগোপন করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাফসার বাম হাতের কনুইতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার পশুরিয়া গ্রামের কৃষক আঃ খালেক মিয়ার মেয়ে হাসফা আক্তারের সাথে সোনাখালী গ্রামের খলিল মাষ্টারের ছেলে লিটন মিয়ার কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। হাফসার বাবা-মা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে শশুর বাড়ির লোকজন প্রায়ই মারধর করতো। এনিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার মেয়ের বিষ খাওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখে তার মেয়ে মারা গেছে। মারধরের কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।