মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
বরগুনার বামনা উপজেলার এক ট্রলি চালকের লাশ মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঈদের একদিন আগে তুষখালী খাল খাল থেকে অজ্ঞাত হিসাবে ভাষমান অবস্থায় উদ্ধার। উদ্ধারকুত লাশের কোন পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসাবে লাশটি গত বৃহস্পতিবার আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তরর করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই লাশের ছবি ছড়িয়ে পরলে নিহতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে মঠবাড়িয়া থানাপুলিশকে অবহিত করে। পরিবারের অভিযোগ গিয়ে ঈদের দুইদিন আগে পাওনা টাকা চাইতে ট্রলি চালক ধলু হাওলাদার পাশ^বর্তী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলার তুষখালীতে গিয়ে নিখোজ হয়। পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ তুষখালী খাল থেকে ঈদের একদিন আগে সকালে ওই ট্রলি চালকের ভাষমান লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ধলু হাওলাদার বরগুনার বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে। সে তিন সন্তানের জনক ছিলো।
এঘটনায়সাথে জড়িত থাকার সন্ধেহে বৃহস্পতিবার সন্ধ্য্য়া মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের উত্তর ছোট মাছুয়া গ্রামের আফজাল শরীফের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৫) ও জাফর শরীফের ছেলে রিয়াজ শরীফ (৩২) আটক করে পুলিশ।
পরে আজ শুক্রবার সকালে আটকৃতদের পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধলু হাওলাদার পাশর্^বর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর ছোট মাছুয়া গ্রামের রত্তন হাওলাদারের ট্রলির চালক হিসেবে চাকরী করতেন। গত ২৭ রমজান রবিবার পাওনা টাকা আনার কথা বলে বামনার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ধলু মিয়া। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায। পরে মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া তুষখালী একটি খাল থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা আনোয়ার হাওলাদার জানান,গত ২৭ রমজান ধলু সকালে বামনার নিজ বাড়িতে এসে বিকালে আবার মঠবাড়িয়ায় চলে যায়। যাবার সময় সে পরিবারের কাছে জানায় ট্রলি মালিকের কাছে পাওনা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ঈদের আগে ফিরে আসবে। কিন্তু সে যাওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তার ছেলে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আটককৃতদের আজ শুক্রবার সকালে পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে নিহত ধলু গত রবিবার রাতে তাদের বাড়িতে আসে। এসময় বাড়িতে চোর ধরার জন্য বিদ্যুতের ফাঁদ পাতা ছিল। সে ফাঁদে ধলু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। পরে ঝামেলা এরাতে নিহতের লাশ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেয়।
এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।