মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জান্নাতুল মিমি(১৫) নামে দশম শ্রেণী পড়–য়া এক ছাত্রী তুচ্ছ ঘটনায় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষিকার ডাস্টারের পিটুনীতে আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, শ্রেনী শিক্ষিকাকে না বলে পানি পান করতে যাওয়ার অপরাধে শহরের কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের শিক্ষিকা ঊষা রানী শনিবার পাঠদানকালীন সময়ে শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিমিকে গালমন্দ করে ও ডাস্টার দিয়ে পিটুনী দেয় । এতে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মিমি উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলম শরীফের মেয়ে।
এ ঘটনায় আহত ছাত্রীর মা মুন্নী আক্তার অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আজ রবিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকাকে কারন দর্শানো নোটিশ দিয়েছে।
থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাশ চলাকালীন সময়ে জান্নাতুল মিমি সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সাথে পানি পান করতে যায়। পরে শ্রেণীকক্ষে ঢোকার সাথে সাথে শিক্ষিকা ঊষা রানী তাকে কালো কুৎসিত বলে অশালীন গালমন্দ করে। এর প্রতিবাদ করলে মাথা নিচু করে শিক্ষিকা তাকে ডাষ্টার দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে।
আহত ছাত্রীর মামা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল অভিযোগ করেন, আমার ভাগ্নিকে অশ্লীল কথা বলে ছাত্রীদের উপস্থিতিতে নির্দয়ভাবে বেধরক মারধর করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও বিচার দাবি করছি। তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে রূঢ় আচরণ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক উষা রানী তার বিরুদ্ধে আনীত মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পাঠদান চলাকালীন সময় ওই ছাত্রী শ্রেণী শিক্ষিকাকে না বলে বাহিরে যায় । এজন্য তাকে ভাল পড়াশুনা করে মানুষ হওয়ার উপদেশ দেই। আমি শ্রেণীকক্ষে ডাস্টার নিয়ে যাইনি মারধর করিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে রুঢ় আচারণের অভিযোগ অস্বীকার করে কলেন, অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে কারন দর্শানোর নোর্টিশ দিয়ে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।