মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আবু বকর সাগর (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার ৮দিন অতিবাহিত হলেও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এদিকে গুরুতর আহত পরীক্ষার্থী আবু বকর সাগর গত ৮ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আহত সাগর উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের রিকশা চালক জাহাঙ্গীর হোসেন এর ও ও শহরের কে এম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র। অপরদিকে আসামীরা মামলা তুলে নিতে বাদিকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে সাগর বাড়ির সংলগ্ন মাঠে ক্রিকেট খেলতে গেলে স্থানীয় কেএম লতীফ ইনষ্টিটিউশনের নবম শ্রেনীর ছাত্র প্রতিবেশী আজিম হাওলাদার (১৫) সাথে বাক-বিতান্ডা হয়। খেলা শেষে সাগর বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় মাঝেরপুল নামক স্থানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামী আজিম ও তার দলবল গাব গাছের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে আবু বকরকে গুরুতর আহত করে। এতে তার সামনের তিনটি দাঁত পড়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর যখম হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে । পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেওে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে সাগরের অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়। এঘটনায় সাগরের বাবা বাদি হয়ে গত ৩১ অক্টোবর ৪জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ ওই হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আহত সাগরের বাবা রিকশা চালক জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে হত্যা চেষ্টা চালিয়ে বেদম মারধর করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে বিচার চেয়ে থানায় মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছি। আসামিরা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক মো. জাহিদ হোসেন বলেন, অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।