মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শামীম মৃধা নামে জেলা বিএনপি’র এক নেতা ও ব্যবসায়ির নামে সাজানো অস্ত্র মামলা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যবসায়ী পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার দ্রুত মুক্তির দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হয়রাণির শিকার ব্যবসায়ী শামীম মৃধার স্ত্রী লিয়া আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে করেন। এসময় গ্রেফতারকৃত শামীম মৃধার বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাবু মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
গৃহবধূ লিয়া আক্তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগষ্ট ব্যবসায়ি শামীম মৃধা স্ত্রী ও দুগ্ধজাত দুই সন্তান নিয়ে ঢাকা হতে পারিবারিক কাজে মঠবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে আসেন। কিন্তু থানা পুলিশ ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উপজেলার টিকিকাটা গ্রামের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ি শাশীম মৃধাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই আটক করে। আটকের দুদিন পর মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর সড়কের গুদিঘাটা নামক স্থানে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত ও নাশকতা মূলক কর্মকান্ডের সাজানো অভিযোগ এনে মঠবাড়িয়া থানার এসআই জাহিদ হাসান বাদি হয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীনসহ ৮৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ব্যবসায়ি শামীম মৃধাকে প্রধান আসামী দেখিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক কারনে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
ব্যবসায়ী শামীম মৃধার স্ত্রী লিয়া আক্তার আরও অভিযোগ করেন, আমার স্বামী রাজনীতিতে এখন তেমন সক্রিয় নন। কিন্তু পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে দেশীয় অস্ত্রসহ স্থানয়ি গুদিঘাটা থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে মামলার প্রধান আসামী করেছেন। আমি আমার স্বামী শামীম মৃধার দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানাই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার মিথ্যা মামলা গ্রহনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিএনপির যারা নাশকতার সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারকৃত শামীম মৃধার অর্থ যোগান দেয়ার অভিয়োগ রয়েছে।