মঠবাড়িযা প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবি তুলে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বুধবার বিকেলে উপজেলার বড় শৌলা গ্রামে এ পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ মাহমুদা বেগম ও তার কলেজ পড়–য়া বোন ইমা আক্তার মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
আহত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের মৃত আবদুল জলিল মাতুব্বরের মেয়ে মাহামুদা বেগমের সাথে ৮ বছর পূর্বে প্রতিবেশী জব্বার মাতুব্বরের ছেলে বেল্লাল মাতুব্বরের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেল্লাল মাতুব্বর বিদেশ যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী মাহামুদার পরিবারের কাছ দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি তোলে। ওই টাকা নিয়ে সে বিদেশে যায়। বেল্লাল বিদেশ থেকে সম্প্রতি বাড়ি চলে আসে। এরপর ব্যবসার জন্য পুনরায় তিন লাখ টাকা শ্বশুর বাড়ির কাছে দ্বিতয়ি দফায় যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রীর ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। বুধবার বিকেলে স্বামী বেল্লাল মাতুব্বর, তার ভাই আনোয়ার মাতুব্বর, বাবা জব্বার মাতুব্বর মিলে অন্তঃসত্ত্বা মাহামুদা বেগমকে চুলের মুঠি ধরে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এসময় মাহামুদার ছোট বোন কলেজ ছাত্রী ইমা আক্তার বাধা দিলে তারা তাকেও মারধর করে ফেলে রাখে । পরে প্রতিবেশীরা দুই বোনকে উদ্ধার করে মঠবাড়িযা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার জানান, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।