মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়র মুক্তিযোদ্ধার নাতনি ও সাংবাদিক কন্যা শিশু স্কুল ছাত্রী ঊর্মি আক্তার হত্যাকান্ডের ১১ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। সোমবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। হত্যার কান্ডের ১১ মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন (বিপিএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত. কুদ্দুস আকনের ছেলে ছগির আকনের (৪০) বিরুদ্ধে র্ধষণ শেষে ওই স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
নিহত শিশু উর্মি উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছিল। সে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি জুলফিকার আমীন সোহেলের মেয়ে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ঊর্মি সহপাঠি বাড়ি যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে নিখোঁজের দুই দিন পর ২৩ জুলাই বাড়ির অদুরে একটি পরিত্যাক্ত বাগানের নালা থেকে পুলিশ শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২৩ জুলাই রাতে নিহত ঊর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল অজ্ঞাতদের আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে প্রতিবেশী বখাটে মাদকসেবি ছগির আকনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
ছগির সম্প্রতি উচ্চ আদালতের জামিনে এসে মামলার বাদী সোহেলকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়।
এদিকে ঊর্মির প্রকৃত হত্যাকারির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মঠবাড়িয়ার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠন একধিক বার প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাজহারুল আমিন (বিপিএম) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছগির আকনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আদালতে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়াধিন।