ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - পাথরঘাটায় যৌথ বাহিনীর অভিযান ৮৫ লাখ চিংড়ি রেণু জব্দ

পাথরঘাটায় যৌথ বাহিনীর অভিযান ৮৫ লাখ চিংড়ি রেণু জব্দ

মির্জা খালেদ,পাথরঘাটা(বরগুনা)প্রতিনিধি >>

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী বাজারে যৌথ অভিযানে ৮৫ লাখ বাগদা ও গলদা মাছের রেণু জব্দ করে খালে অবমুক্ত করেছে পাথরঘাটা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির। এসময় র‌্যাব,কোষ্টগার্ড,নৌপুলিশ, উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও চরদুয়ানী বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিল। রবিবার রাতে অভিযান শুরু করে gfu সোমবার সকালে অভিযান শেষ হয়। এ মৌসুমে এটাই সর্ববৃহৎ রেনুর চালান আটকের দাবি কোস্ট গার্ডের।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।

খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন মাছের ঘেরে বিক্রীর জন্য ওই রেনু পোনা জড় করা হয়েছিল বলে পোনা ব্যবসায়ীরা জানান।

সাগর বা নদী মোহনা বা বিভিন্ন চর থেকে মিহি ফাঁসের জাল দিয়ে রেনু গুলো ধরা হয়েছে। মৎস্য আইনে ওই রেণু জলাশয় থেকে আহরন বা পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে সরকারি ভাবে।

কোষ্ট গার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. মাহবুবুল আলম শাকিল কালেকন্ঠকে জানান, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী বাজারে রেণু পোনার বিশাল বাজার। বলেশ্বর নদী তীরবর্তী এ বাজরে প্রতিদিন কোটি কোটি বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু বিক্রী হয়। তাই আমরা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন আরৎদার দের দোকান থেকে মোট ৯৭টি সিলভারের পাতিলে ৮৫ লাখ রেণু জব্দ করি ও বলেশ্বর ও বিশখালী নদীর সংযোগ রক্ষাকারি চরদুয়ানী খালে সকাল ৯টায় অবমুক্ত করা হয়। তার মতে এ মৌসুমে আটক এটাই সর্ববৃহৎ চালান। এসময় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কোস্ট গার্ড,র‌্যাব-৮ এর ফোর্স,নৌপুলিশ,উপজো মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা, চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজউদ্দিন আহমেদ ফিরোজ, চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর মো.খলিলুর রহমান সহ বাজারের শতশত মানুষ উপস্থিত ছিল।
চরদুয়ানী বাজরে আগত কৃষক আবদুল লতিফ বলেন, নৌ পুলিশ ফাঁিড়র সামনে সারা বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় ৩৬টি আরত। সারা দিন অবৈধ চিংড়ি রেণুর ব্যবসা চলে । গভীর রাতে দৈনিক ৩/৪টি ট্রাক বোঝাই করে রেণু চালান হয় অথচ পুলিশ কিছু বলেনা। এব্যপারে চরদুয়ানী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি উপপরিদর্শক নারায়ন চন্দ্র হাওলাদার প্রতিনিধিকে বলেন, অবৈধ কারবার দেখলেও কিছু বলতে পারি না, স্থানীয় চাপ আছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

পাথরঘাটা উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির কালেরকন্ঠকে বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরু করি রবিবার রাত থেকে। বাজারে আনুমানিক ৩৬টি আরৎ রয়েছে। ওই আরৎ থেকে সিলভারের পানি ভর্তি পাতিলে রেণু গুলো সংরক্ষিত ছিল। অভিযানে সাথে ছিল কোস্টগার্ড,র‌্যাব-৮ এর পটুয়াখালী কোম্পানীর ফোর্স, চরদুয়ানীর নৌপুলিশ, পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা। সোমবার সকাল ৯ টায় ৯৭টি পাতিলে রক্ষিত ৮৫ লাখ বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছের রেণু চরদুয়ানী বাজার সংলগ্ন খালে অবমুক্ত করা হয়। পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত আটক ৯৭টি সিলভারের তৈরী পাতিল ২৫ হাজার ৫শ টাকায় নিলামে বিক্রী করা হয়। অবশ্য এজন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
উল্লেখ্য খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন মাছের ঘেরে ওই রেণু সমুহ বিক্রী করে ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন বিকাল থেকে উপকূলের বরগুনা,পটুয়াখালী জেলা ও সুন্দরবন সহ বিভিন্ন মোকাম থেকে পাথরঘাটা শহর হয়ে চরদুয়ানী বাজারে জড় করা হয়। রাত ২টার পরে ওই রেণু ট্রাক ভরে ঘের সংশ্লিষ্ট খুলনা ও বাগেরহাট মোকামে পাঠান হয়।
রেণু ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরৎদার জানান, পথে পথে বিভিন্ন চাঁদাবাজ ও আইন শৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে গন্তেব্যে পৌঁছতে হয়। কয়েক হাত ঘুরে প্রতিটি রেণু বিক্রী হয় ১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২ টাকা ২০পয়সা পর্যন্ত। সে হিসেবে এর বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে নদী থেকে প্রাথমিক আহরণকারিরা এ জন্য রেণু প্রতি ৫০ থেকে ৬০ পয়সা মূল্য পেয়ে থাকে বলে জানালেন চরদুয়ানীর বলেশ্বর নদী তীরের আম্বিয়া খাতুন।
উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো. জয়নুর ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে কোন রেণু সংগ্রহ না করে ঘের মালিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে হ্যাচরী থেকে রেণু সংগ্রহ করার কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। ##

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...