আজকের মঠবাড়িয়া সত্য প্রচারে সোচ্চার 
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় সমীর সাধক(২২) নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে উজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামে এ হত্যাকান্ড ঘটে। পুলিশ আজ রোববার সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমøেক্স হতে নিহত ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শ্রমিক সমীর সাধক উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের মনোরঞ্জন সাধকের মেজ ছেলে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সমীর সাধক পিরোজপুরের হুলারহাটে একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত দুইদিন আগে সে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভান্ডারিয়ার উত্তর শিয়ালকাঠিতে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে বাড়ির কাছাকাছি আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় দুর্বৃত্তরা তার বুক ও পেটের বামদিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত সমীর জীবন বাঁচাতে দৌড়ে প্রতিবেশী সজল বেপারীর বসত ঘরে আশ্রয় নেয়। একটু পড়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রতিবেশীরা সমীরের বাড়ি ও থানায় খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল হতে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসক রাতেই তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত শ্রমিক সমীরের বড় ভাই মেঘনা সাধক ভাই হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, ভাই ইটের ভাটায় কাজ করত। তার কোন শত্রু ছিলনা। দুইদিন আগে ছুটিতে বাড়ি আসে। কোন অপরাধে কারা ভাইকে থুন করলো আমরা জানিনা। ভাই হত্যার বিচার চাই।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দিন হত্যাকান্ডের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল হতে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার কওে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। তবে মাদক সংক্রান্ত বিরোধে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে নিহত শ্রমিক সমীর সাধকের বড় ভাই মেঘনা সাধক বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
