ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে ঘুষ দিয়েও চাকুরি পাননি ভান্ডারিয়ার মিরাজ

দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে ঘুষ দিয়েও চাকুরি পাননি ভান্ডারিয়ার মিরাজ

পিরোজপুর প্রতিনিধি↪️

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ৪০নং দক্ষিণ পশ্চিম আতরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ-প্রহরী-কাম দপ্তরী পদে তিন লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও চাকুরি পেলনা মিরাজ হোসেন। চাকুরি প্রার্থী মিরাজ হোসেনর কাছ থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান দপ্তরী পদে চাকুরি দেয়ার জন্য তিন লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে চাকুরি দেয়ার নামে টালবাহানা শুরু করেন শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান । এ ব্যাপারে ভূক্তভোগি চাকুরি প্রার্থীর বড় ভাই মো. কবির হোসেন বরিশাল বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক বরাবরে এ মর্মে প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দাখল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার আতরখালী গ্রামের মোঃ মিরাজ হোসেন স্থানীয় ৪০নং দক্ষিণ পশ্চিম আতরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ-প্রহরী-কাম দপ্তরী পদে নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চাকুরির জন্য যথাযথ ভাবে আবেদন করে। ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় সে অংশগ্রহন করে মিরাজ হোসেন পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে। যা স্কুলের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে উত্তীর্ণ প্রার্থী মিরাজ হোসেনর নিকট থেকে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ. নুরুল ইসলাম চাকুরির জন্য ৫লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন । পরবর্তীতে ইকড়ি বাজারে শিক্ষকের বাড়ীতে বসে প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার দুই লাখ টাকা গ্রহণ করে । ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল ওই দুই লাখ টাকা প্রার্থীর পরিবার প্রদানের পর প্রধান শিক্ষক আরও তিন লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। পরদিন প্রধান শিক্ষকের কথামত ভা-ারিয়া উপজেলায় এসে সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমানের সাথে দেখা করেন। শিক্ষা অফিসার তখন প্রার্থীর পরিবারকে জানায় প্রধান শিক্ষকের কথামত টাকা না দিলে চাকুরী হবে না। এরপর সহকারী শিক্ষা অফিসারকে আরও একলাখ টাকা প্রদান করা হয়। তিন লাখ টাকা পরিশোধের পর প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার আরও দুইলাখ টাকার জন্য চাপ শুরু করে। টাকা না দেয়ায় কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্র নিয়া টালবাহানা শুরু করে। পরে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় ওই পদে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। যা সরকারি নিয়ম নীতির পরিপন্থি ।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগি প্রার্থীর ভাই মো. কবির হোসেন অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ৩১মে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শিক্ষা অফিসার মিরাজ হোসেনকে দ্বিতীয়দফায় আবেদন করার পরামর্শ দেন। কিন্তু প্রার্থীর বয়সসীমা ততদিনে পার হয়ে যাওয়ায় সে আবেদন করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে সে ঘুষের তিন লাখ টাকা ফেরত দাবি করেন। কিন্তু প্রার্থীর টাকা ফেরত দিতে নানা টালবাহা করছে অভিযুক্তরা ।
এ বিষয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার টাকা নেয়ার কথা অস্বিকার করে বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহিন। তিনি আরো বলেন অর্ধেক পরীক্ষা হওয়ার পরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরীক্ষা স্থাগিত করে দেন। আমি বা আমরা কোন টাকা পয়সা নেই নি।
ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয় তিনি কিছুই জানেন না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন। তিনি বলেন, উক্ত প্রার্থীকে আমি চিনি না। তার কাছ থেকে টাকা গ্রহন করার কোন প্রশ্নই আসে না। এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ অতিকুল ইসলাম উজ্জল বলেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ওই বিদ্যালয়ে আইনি জটিলতার কারনে দপ্তরি নিয়োগ দেয়া যায় নাই।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...