ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - বামনায় মা ও সন্তানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নিষ্ঠুর নির্যাতন ! অভিযুক্ত দুইজন কারাগারে

বামনায় মা ও সন্তানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নিষ্ঠুর নির্যাতন ! অভিযুক্ত দুইজন কারাগারে

মনোতোষ হাওলাদার,বামনা(বরগুনা) >>

বরগুনার বামনায় জাদুটোনার মাধ্যমে ক্ষতি সাধনের বানোয়াট অভিযোগ এনে ইউনুস মল্লিক নামে একজনকে তার মা ও সন্তাদের সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে আপন বড় ভাই ও তার সহযোগীরা। ওই ঘটনার সময় ইউনুসকে বোতল ভর্তি করে মল-মুত্রও খাওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিষ্ঠুর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বরগুনার বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে । এদিকে নির্যাতনের চিত্র স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ধারণ করে, পরে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার পর জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ইউনুস এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামের মৃত্যু আদম মল্লিকের ছেলে ইউনুস মল্লিক (স্থানীয় ভাবে ফকির হিসেবে পরিচিত) ও তার বড় ভাই মো: ইসমাইল হোসেন এর সাথে দীর্ঘ্যদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। তারই জের হিসেবে ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে জাদুটোনা করে ক্ষতি সাধন করেছে, এমন অভিযোগে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে নিজ বাড়ীর সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে ইউনুসকে অমানবিক নির্যাতন করে বড় ভাই ইসমাইল, তার স্ত্রী পারুল বেগম ও ছেলে সোহাগ। এ সময় স্ত্রীর মল-মূত্র বোতল ভর্তি করে ইউনুসকে খাওয়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সময় ছেলের নির্যাতনের দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে প্রতিরোধের জন্য এগিয়ে আসে ইউনুসের মা ও ৮ বছরের মেয়ে রুপালী। এ সময় তাদেরকেও মারধোর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যায়ে ইউনুস গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ইউনুস বাদী হয়ে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
প্রসঙ্গত নির্যাতনের শিকার ইউনুসের স্ত্রী মাসখানেক আগে মারা গেছে। তাদের পরিবারে ৩ মেয়ে এবং এক ছেলে সন্তান রয়েছে। যার মধ্যে এক মেয়ের বয়স ৮ মাস।
ঘটনার খবর পেয়ে বামনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেঁধে রাখা ও মারধরের আলামত হিসেবে লাঠি, রঁশি ও মল-মূত্র ব্যবহৃত বোতল জব্দ করেছে। পরে নির্যাতনকারী ইসমাইলের ছেলে সোহাগকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পূর্বসফিপুর এলাকা থেকে এলাকাবাসিরা আটক করে বামনা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামী মো: ইসমাইল হোসেন রবিবার আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালতের বিচারক তাকেও জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন জানান, আসামী সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শনিবার সকালে কোর্টের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামী ইসমাইল আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকেও জেল হাজতে পাঠায় আদালত ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...