মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বরের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ এনে মঠবাড়িয়া থানায় গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার দলী চার নেতা ৪টি পৃথক জিডি করেছে।
আজ শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় নেতারা তার পিস্তল জব্দের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জানাগেছে, আওয়ামীলীগ নেতা ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আজিম-উল-হক, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, অপর সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন খান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ নওরোজ বাদী হয়ে আলাদা আলাদা সাধারণ ডায়েরী করেন।
এসব জিডিতে জিডিতে আওয়ামীলীগ নেতারা উল্লেখ করেন, দলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাতুব্বর দলীয় চার নেতাকে পিস্তল উঁচিয়ে বিভিন্ন সময় গুলি করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তাই তার ব্যবহৃত পিস্তলটি থানায় জব্দ করার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার বিকালে স্থানীয় জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় আওয়ামীলীগ নেতা, মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও পিরোজপুর জেলা পরিষদের সদস্য আজিম-উল-হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেলিম মাতুব্বর ঐতিহ্যবাহী কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির একাধিকবার সভাপতি থাকার কারণে টেন্ডার ছাড়াই নিয়ম বর্হিঃভূত কোটি কোটি টাকা কাজ করিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করেন ২০১৬ সালের ২৫ শে জুলাই আওয়ামীলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী লিটন হত্যা তার উস্কানিতে হয়েছে। এজন্য দল আজ দ্বিধা বিভক্ত। তাই ওই তাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসরণের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর তাঁর বিরুদ্ধে জিডি ও সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে যারা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে তারাই আজ আসল ঘটনা আড়াল করার জন্যই থানায় জিডি ও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করছে।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী শাহ্ নেওয়াজ জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের অনুমতি পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম মাতুব্বর বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার মঠবাড়িয়া থানায় দলীয় পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকীর অভিযোগ এনে একটি জিডি করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে পাল্টা চারটি পৃথক জিডি ও সংবাদ সম্মেলন করে তার পিস্তল জব্দের দাবি জানানো হয়।