মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আসমা বেগম(৩৫)নামে এক নি:সন্তান গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে ঘরটি তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত ওই গৃহবধূর ননদ ফিরোজা বেগমকে(৪৮) গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মামা মো. জালাল মৃধা বাদি হয়ে গৃহবধূর স্বামীর ভাগ্নে ফয়সাল মুন্সীকে(২৮) প্রধান আসামী করে সাত জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত ভাগ্নে ফয়সালের বাবা আব্দুস সালাম মুন্সী ও মা ফিরোজা বেগমকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় গৃহবধূর প্রবাসি স্বামী নাছিরকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে।
এর আগে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামে স্বামীর বসতঘর হতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে । এসময় বসতঘরটি তালাবদ্ধ ছিল।
নিহত গৃহবধূ আসমা উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের আব্দুল লতিফ খানের ছেলে কাতার প্রবাসি নাছির উদ্দিন ও মঠবাড়িয়া পৌরশহরের নিউমার্কেট মহল্লার মৃত মো. সুলতান মৃধার মেঝ মেয়ে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া খানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম তারিকুল ইসলাম বলেন, নিহত গৃহবধূর মামা বাদি হয়ে সাতজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জড়িত নিহত গৃহবধূর ননদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।