মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবি তুলে মাহমুদা বেগম(২৩)নামে এক নির্যাতন অভিযোগে থানা পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও শ্বশুর ইউপি সদস্য মোস্তফা চৌকিদারকে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতা গৃহবধূ মাহামুদা বেগম(২৩) বাদী হয়ে স্বামী শ্বশুরসহ ৪জনকে আসামী করে শনিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করলে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে আহত ওই গৃতবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার জরিপেরচর গ্রামের মোস্তফা চৌকিদারের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে মধ্য তুষখালী গ্রামের সুন্দর আলী মোল্লার মেয়ে মাহামুদা বেগমের দীর্ঘ ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য সংসার সুখের হলেও কিছুদিন পর স্বামী রফিকুল বিদেশ যাবার জন্য শ্বশুরের কাছে ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। কৃষক শ্বশুর সুন্দর আলী মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জমি বন্ধক রেখে তিন লাখ টাকা জামাইকে দিলে ওই টাকা দিয়ে জামাই রফিকুল সৌদি যায়।
এদিকে রফিক সৌদি যাবার পরে গত দুই বছর আগে বাকি দাবীকৃত যৌতুকের ২ লাখ টাকার জন্য শ্বশুর, শ্বাশুরি ও ননদ স্ত্রী মাহামুদার ওপর নির্যাতন চালায়। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস রুম্মন আহত মাহামুদাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কারনে স্ত্রী মাহামুদা বাবার বাড়িতে বাসবাস করে।
গতকাল শনিবার স্বামী রফিকুল সৌদি থেকে বাড়িতে এসেছে এমন খবর পেয়ে স্ত্রী মাহামুদা তার বৃদ্ধ বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যায়। এসময় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুরি ও ননদ মিলে মাহামুদাকে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে।
এ ব্যাপারে তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহার হাওলাদার জানান, সৌদি প্রবাসী রফিকুল বাড়িতে এসেছে এমন খবর পেয়ে ওই গৃহবধূ আমার এক ইউপি সদস্য ও তার পিতাকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি জরিপেরচর যায়। গৃহবধূকে দেখার সাথে সাথেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন মাহামুদার ওপর ঝাপিয়ে পরে গুরুতর আহত করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত স্বামী, শ্বশুরকে আজ রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।