ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার শালিস ! থানায় মামলা

মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার শালিস ! থানায় মামলা

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মামুন চৌকিদার(২২)নামে এক বখাটে কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ মে রাতে মামা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী এ নির্যাতনের শিকার হয়। পরে অভিযুক্ত বখাটের পরিবার এ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মধ্যস্থতায় শালিসে মিটমাটের আয়োজন করে। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে নির্যাতিত পরিবারটিকে থানায় ডেকে এনে ওই বখাটের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা রুজু করে। ঘটনার ১২ দিন পরে মঙ্গলবার রাতে ভূক্তভোগি মাদ্রসা ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি মামলা দায়ের করেন। তবে অভিযুক্ত বখাটে পলাতক।
অভিযুক্ত বখাটে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের পাঠাকাটা গ্রামের মো. আনোয়ার চৌকিদারের ছেলে। সে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার পাঠাকাটা গ্রামের ওই মাদ্রসা ছাত্রী গত ২৫ মে একই গ্রামের মামা বাড়িতে বেড়াতে যায় । এসময় মেয়েটির মামা ও মামি পারিবারিক কাজে বাইরে ছিলেন। ওই রাতে মাদ্রাসা ছাত্রীর মামাত এক বোন আর সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। রাত অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে একই গ্রামের বখাটে মামুন চৌকিদার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার ডাক চিতকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে বখাটে মামুন গায়ের জামা ও জুতা ফেলে পালিয়ে যায়।
নির্যাতিত মেয়েটির মা অভিযোগ করেন, এ ঘটনা ধামা চাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের সহায়তায় বিষয়টি শালিসে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালায় বখাটের পরিবার। ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে শালিস করে দেয়ার জন্য ইউপি সদস্য নির্যাতিতা পরিবারকে জানায়। বখাটে মামুনের পরিবার এজন্য ১০ হাজার টাকা শালিসদারের কাছে জমাও দেয়। কিন্তু ইউপি সদস্য এ ঘটনার কোন বিচার না করে সময় ক্ষেপণ করে।
এ বিষয়ে ঘটনার শালিসদার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মজিবর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মামুনের পরিবার বিষয়টি শালিসে নিষ্পত্তির জন্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা জমা করে। পরে তারা বাকী ৩০ হাজার টাকা জমা না দেওয়ায় আমি শালিসের কোন উদ্যোগ নেইনি।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ মাজহারুল আমীন (বি.পি.এম) জানান, ঘটনার পর ভূক্তভোগি পরিবারের কেউ থানায় অবহিত করেনি। এমন একটি ঘটনার শালিস হচ্ছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্তপূর্বক ভূক্তভোগিদের থানায় এনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত বখাটে পলাতক । তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ভূক্তভোগি মাদ্রাসা ছাত্রী মঠবাড়িয়া ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আজ বুধবার দুপুরে ২২ ধারায় একটি জবানবন্দী দিয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...