মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় বিরোধীয় জমিতে উত্তোলনকৃত একটি বসত ঘরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সূর্যমনি পশ্চিম ভেচকি গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার অগ্নিকান্ডে ওই গৃহস্থের সদ্য তোলা বসত ঘর ও একটি খড়ের গাদাসহ কিছু গাছপালা পুড়ে যায়। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করে বলে অভিযোগ করেন। জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আবদুর জলিল মিয়া তার দলবল এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম ভেচকী গ্রামে কাঞ্চন আলী খানের ছেলে আবদুল জলিল খানের সাথে পাচবছর ধরে সাত শতাংশ জমির মারিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধীয় জমি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় কয়েক দফা শালিস বৈঠকের পর রোয়েদাদ অনুযায়ী কুদ্দুস মৃধা বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলে দখলে নেন। মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে তালাবদ্ধ ওই বসত ঘরে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে বসতঘর সহ গাছপালা ও খরের গাদা সম্পুর্ন ভস্মিভুত হয়। স্থানীয়রা চেস্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহস্থ কুদ্দুস মৃধা অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ আবদুল জলিল খান ও তার পরিবারের লোকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে এ অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে প্রতিক্ষ আবদুর জলিল খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, তার পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে নিজেরাই এ অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন অগ্নিকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই পক্ষের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ আছে। এ নিয়ে সালিশ ব্যবস্থা ফয়সালা প্রক্রিয়াধিন এম অবস্থায় কুদ্দুস মৃধা ওই বিরোধীয় জমিতে বসতঘর তুরেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ওই বসতঘরে রহস্যজনক ভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম তারিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।