পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের নামে এক গৃহবধূ ও তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা (৪৫) ও তার মেয়ে জেসমিন আক্তার (২৫) বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের খানাকুনিয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রিয়াজ হোসেন উজ্জল সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আহতদের বাড়ী একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পোরগোলা গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রাজিয়া সুলাতানা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে জেসমিন আক্তারের সাথে পাশের খানাকুনিয়ারী গ্রামের মজিবুর শেখের ছেলে মারুফ শেখের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় মারুফ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক দাবী করে আসছিলে। সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে জেসমিন কে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মারুফ। এ বিষয়ে দুপক্ষকে নিয়েই শনিবার বিকেলে খানাকুনিয়ারী ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সালিশ বৈঠক ডাকে উজ্জল মেম্বার।
রাজিয়া সুলাতানা বলেন, সালিশ বৈঠকে বসার আগেই হঠাৎ করেই উজ্জল মেম্বার আমার মেয়েকে গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার মেয়েকে উজ্জল মেম্বার হাত-পা দিয়ে চর-থাপ্পর মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে শুরু করে । এ সময় আমি থামাতে এলে সে আমাকেও মারে এবং পরে লাঠি দিয়ে আমার মেয়ে ও আমাকে প্রচন্ড মারপিট করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কদমতলার ইউপি চেয়ারম্যান মো: হানিফ খান বলেন, মারধরের বিষয়টি শুনেছি। সালিশ বৈঠকের নামে এ রকম অন্যায় ভাবে কাউকে মারধর করা উজ্জল মেম্বারের উচিত হয়নি।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো: মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, রাতে আহতরা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়ে গেছে। অভিযোগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রিয়াজ হোসেন উজ্জল জানান, তিনি কাউকে মারেননি। সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষ মারপিট করছিল। তখন সে শুধু মাত্র দুই পক্ষকে থামিয়ে দিয়েছে।