পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন একজনের সাত বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠি এলাকার শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজনের পুত্র তছলিম হাসান বাপ্পি (১৯), একই এলাকার ইনছাফ আলী মহাজনের ছেলে ইমরান মহাজন (১৮) ও মৃত ইসকেন্দার মহাজনের পুত্র শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজন (৪৫)।
তছলিম হাসান বাপ্পি ও ইমরান মহাজনকে যাবজ্জীবন এবং ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড, ও শহিদুল ইসলাম ফরিদকে সাত বছরের কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত অপর দুই আসামী তাসলিমা বেগম ও জলিল মহাজনকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খান মো: আলাউদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি রাতে তছলিম হাসান বাপ্পি প্রতিবেশী এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ইমরান মহাজন মেয়েটিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করে। এতে মেয়েটি অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে। মেয়েটির বাবা মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানতে পারেন মেয়েটি গর্ভে সন্তান রয়েছে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়া তসলিম হাসান বাপ্পির পিতা শহিদুল ইসলাম ফরিদ মেয়েটিকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করে। এত মেয়েটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর শহিদুল ইসলাম ফরিদ তার ছেলে তছলিম হাসানের সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই বছর ৩ জুন মেয়েটির বাবা পিরোজপুর সদর থানায় পাঁচ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।