মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভা ভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্বত্তরা ভবনের পিছনের গ্রিল কেটে নিচতলার সমস্ত কক্ষের ফাইলপত্র ও মালামাল তছনছ করে বিভিন্ন দপ্তরের রক্ষিত নগদ অর্থসহ মালামাল নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে এ চুরির ঘটনায় আনুমানিক চার লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে পৌর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।
মঠবাড়িয়া পৌরসভার সচিব মো. হারুনুর রশীদ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পৌরসভা ভবনের নৈশ প্রহরী মো. ফোরকান মিয়া ভবনের দোতলার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে অজ্ঞাত চোরের দল ভবনের পিছনের গ্রিল কেটে নীতলার সিঁড়ির কলাপসিপল গেটে তালা লাগিয়ে সকল দপ্তরের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় দুর্বত্তরা অফিসের আলমারি ভেঙে সকল ফাইলপত্র তছনছ করে। দুর্বৃত্তদল পৌরসভার ভবন নির্মাণ, হাট-বাজারের ইজারা ও ড্রেনেজের টেন্ডার ফাইল নিয়ে যায়। এছাড়া কয়েকটি দপ্তরের আলমারি ভেঙ্গে এক কর্মচারীর রক্ষিত প্রায় তিন ভরি স্বর্ণলংকার ও অফিসের নগদ অর্থসহ আনুমানিক চার লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পৌরভবনের নিচতলার বামপাশে পূবালী ব্যাংক ও দোতলার বামপাশে অগ্রণী ব্যাংকের কার্যালয় থাকলেও দুর্বৃত্তরা ব্যাংক দুটিতে প্রবেশ করেনি।
তিনি আরও জানান, ভবনের নিচতলার বামপাশে পূবালী ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় গভীর রাতে মুখোশধারী কয়েকজন দুর্বৃত্তদের হাঁটাহাঁটি করতে দেখা গেছে। তবে তাদের সনাক্ত করা যায়নি। এ চুরির ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী শাহ নেওয়াজ ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পৌর ভবন পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এরকম একটি সংরক্ষিত ভবনে চুরির ঘটনা রহস্যজনক। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পৌরসভার নৈশ প্রহরী মো. ফোরকান মিয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।